বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির এখন বাংলাদেশে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির এখন বাংলাদেশে
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯



---

দেড় এক বছর আগে মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসা লাখ লাখ ভয়ার্ত রোহিঙ্গার ঢল নেমেছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলের সৈকতে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই ছিল শিশু। তারা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন রাখাইনে বীভৎস আক্রমনের কথা; আত্মীয়স্বজন, ঘরবাড়ি ও প্রতিবেশীদের হারানোর কথা।

মিয়ানমারের সীমানার অদূরে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের পাহাড়গুলোতে গাদাগাদি করে বাস করে এসব রোহিঙ্গারা। পাহাড়ি বনভূমি উন্মুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই আশ্রয় শিবির। পার্শ্ববর্তী টেকনাফ ও উখিয়াতেও গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ক্যাম্প।

বাংলাদেশের সরকারের নেতৃত্বে, এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দেশের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এড়ানো গেছে অনেক বড় বিপর্যয়। জরুরি অবস্থার প্রথম থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রান ও মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করেছে ইউনিসেফ ও বিভিন্ন বেসরকারি ও দাতা সংস্থা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো আগের তুলনায় এখন অনেক গোছানো। এক বছর আগে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ত্রানে পাওয়া প্লাস্টিকের চাদর ও বাঁশ দিয়ে পাহাড়ের গা ঘেঁষে কোন রকমে আশ্রয় তৈরি করছিলো।

সেই সময়কার কাদাভরা রাস্তাগুলো এখন ইট দিয়ে স্থায়ী করা হয়েছে। বালির ব্যাগ এবং বাঁশের সেতু ব্যাবহার করে খাড়া পাহাড়গুলোতে চলাফেরা সহজ করা হয়েছে। রাস্তায় আলো দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে আরো অনেক সোলার বাতি। শরণার্থী পরিবারগুলোর জন্য বিপদ একটু হলেও কমিয়ে আনা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং এ শরণার্থী শিবিরই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। এর আগে ১ নম্বর অবস্থানে ছিলো কেনিয়ার দাবাব শরণার্থী শিবির। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেপটিম’র এক র‌্যাংকিংয়ে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কক্সবাজারের কুতুপালং শিবিরে বর্তমানে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৮ জন শরণার্থী অবস্থান করছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠি। রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন তারা। ২০১৭ সালের আগস্টে সেনা বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ শুরু করলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।’

তালিকায় ২য় অবস্থানে রাখা হয়েছে উগান্ডার বিডি বিডি শরণার্থী শিবিরকে। এ শিবিরে অবস্থান করছে দক্ষিণ সুদানের গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা ২ লাখ ৮৫ হাজার শরণার্থী। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ওই গৃহযুদ্ধ এখনও চলছে।

৩ নম্বরে রয়েছে কেনিয়ার দাবাব শরণার্থী শিবির। ২ লাখ ৩৫ হাজার শরণার্থী ধারণ করছে শিবিরটি। সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে তারা পালিয়ে এসেছেন এখানে। কেনিয়ার কাকুমা এবং তানজানিয়ার নায়ারুগুসু রয়েছে ৪র্থ ও ৫ম অবস্থানে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ১৯৪৮ সালে চালু হওয়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরটি সবচেয়ে পুরনো। আকারের দিক থেকে এটি বিশ্বে ৬ষ্ঠ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৯:০৬   ২৭০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ