
ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকায় তেল চুরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে আসছিলো বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে তেল চোরাকারবারীর অন্যতম সদস্য ইকবাল হোসন।
শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে ইকবাল আরো স্বীকার করেছে, কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ও স্বার্থান্বেষী মহলের সহযোগীতায় ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এরআগে দুপুরে ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও-২) মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, তেল চোরাকারবারির সাথে জড়িত থাকার কথা ইকবাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে আসছিলো। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জেলা পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথেই কাজ করছে। পুলিশের কোনো সদস্য অনৈতিক ও অপেশাদারিত্বের সাথে কাজ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তথা ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ, জুট সন্ত্রাসীসহ মাদক ও তেল চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এটিকে আরো বেগবান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ তেল চুরির অভিযোগ এনে ইকবাল চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক জলিল মাতুব্বর। বাদী হয়ে ইকবাল চৌধুরীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৭টি ড্রামে সাত লাখ ছিয়ানব্বই হাজার নয়শত চল্লিশ টাকার ডিজেল জব্দ দেখানো হয়েছে।
ওইদিনই ডিবির সোর্স আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে পাল্টা চাঁদাবাজির মামলা করে ইকবাল হোসেন। বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৫ এপিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫১:২৯ ২৫৭ বার পঠিত