
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রোগীবান্ধব হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারলে স্বাস্থ্যসেবায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়িত হবে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসকদের কর্তব্যনিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা, যন্ত্রপাতি সচল রাখাসহ চিকিৎসকদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
আজ (রোববার) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএর সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সাহসিকতা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তাকে অনুসরণ করেই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ আত্মত্যাগ করেছিল। তিনি বলেন, যারা তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ঝরিয়েছিল তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে শহীদদের অপমান করা হয়েছিল। এদেশের জনগণ এই দৃশ্য আর দেখতে চায় না। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই নৃশংসভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা, ২০১৩-২০১৪ সালে নিরীহ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা সব একই সূত্রে গাঁথা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ নিজ নিজ কাজে আত্মনিয়োজিত থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা সফল হবো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪০:৩১ ১৭৭ বার পঠিত