স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে একতাবদ্ধ হতে হবে।
এসময় তিনি সুন্দর-শান্তিময় আগামী নিশ্চিতের জন্য ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ গড়ারও আহ্বান জানান। তিনি আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত “Promoting Equality, Justice and Human Dignity’’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে দেশের জন্য প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের তৃতীয়ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজন করা হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মানাবিক কারণে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জণগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ নিদর্শন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ববাসীর কাছে “মাদার অব হিউম্যানিটি” হিসেবে আখ্যায়িত। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার ৫ দফা সুপারিশের আলোকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেস্টাইন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সদস্য নজরুল ইসলাম।
দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ভারত, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৭:২৪ ৩১৭ বার পঠিত