
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে
গণহত্যা দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ সময়ের সাথে মিল রেখে কোপেনহেগেন
সময় বিকাল ৪টা থেকে ৪.১ মিনিট পর্যন্ত দূতাবাসের সকল আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্লাক-
আউটের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা
হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে ডেনমার্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সপরিবারে উপস্থিত
থেকে মুক্ত আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তাদের স্মৃতিচারণে নিরস্ত্র
বাঙ্গালীর উপর পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের দোসরদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের লোমহর্ষক
বর্ণনার সাথে সাথে দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য
সরকারের প্রতি জোরালো দাবি উঠে আসে ।
ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত তাঁর বক্তব্যে
গণহত্যা দিবসকে বাঙ্গালী জাতির জীবনে সবচেয়ে সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ
করেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতা যুদ্ধের
সকল বীর সেনানী বিশেষ করে ২৫ মার্চের কালো রাতে শহীদ হওয়া সকল বীর, সম্ভ্রম হারা মা-
বোনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে আত্নত্যাগকারী শহীদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি
বলেন, ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের দোসররা
বাঙ্গালী জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের উপর নির্মম
হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে জাতির অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ২৫ মার্চের গণহত্যা
বাঙ্গালী জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লড়াইয়ে দ্রোহ ও প্রেরণা যুগিয়ে এসেছে যুগযুগ ধরে। রাষ্ট্রদূত
উপস্থিত প্রবাসীদের গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গোচরে
আনার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের সকল আন্দোলনে আত্নত্যাগকারী শহীদের রূহের
মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:০৯ ১৪৮ বার পঠিত