
বরিশালে এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৪ নম্বর কেবিন থেকে ৪৯ লাখ টাকার ৯ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, পটুয়াখালীর লাউকাঠী ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের নাজেম মাতব্বরের ছেলে নাসির মাতব্বর ও বরিশাল নগরীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ভাটিখানার মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. আজিম হোসেন হাওলাদার।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর আমতলা মোড় পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটকের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, সড়ক পথের চেয়ে নৌপথে তুলানামূলক নিরাপদ হওয়ায় চক্রটি এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যরা জানতে পারেন এমভি পারাবত-১১ লঞ্চে ইয়াবার একটি বড় চালান আসছে। এমন সংবাদে রোববার ভোরে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আগত এমভি পারাবত লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৪ নম্বর কেবিনে অভিযান চালিয়ে একটি টিস্যুবক্সের ভেতর লুকিয়ে রাখা ৯ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। জব্দকৃত ইয়াবার অবৈধ বাজার মূল্য প্রায় ৪৯ লাখ টাকা। এসময় কেবিন যাত্রী নাসির মাতব্বরকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩টি মুঠোফোন।
অন্যদিকে ইয়াবার চালান গ্রহণ করতে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় যাওয়া বরিশালের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আজিম হোসেন হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকেও উদ্ধার করা হয় একটি মোটরসাইকেল এবং ৩টি মুঠোফোন।
পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, আটক আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, মোহাম্মদ দিলদার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার থেকে ইয়াবা কিনে নাছির মাতব্বরের মাধ্যমে ঢাকা থেকে নৌপথে বরিশালে সরবরাহ করে। এখান থেকে ওই ইয়াবা নেয়ার কথা ছিল আজিম হোসেন হাওলাদারের। তবে এর আগেই তারা ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে।
পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের পাশাপাশি এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৯:৩৩ ১৬২ বার পঠিত