
‘ক্যু’ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা দেখেন কী হয়, ভবিষ্যৎ দেখেন।’
আজ (বুধবার) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস সৌজন্য সাক্ষতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) আপনি মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ করার অভিপ্রায় ছিল। হঠাৎ বিষয়টি কেন আসল- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে নয়, সমন্বয় সভার আলোচনার মধ্যে…সেখানে অগ্রগতি, কিছু কিছু ব্যাপারে অগ্রগতি হয়নি, কেন হয়নি এসব নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছিলাম। সেইসব আলাপ-আলোচনার মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। আমি মনে করি যে কথা হয়েছে, সেগুলো সত্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় নির্বাহী বিভাগ কখনোই হস্তক্ষেপ করবে না।’
ভবিষ্যতে ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় জনগণের শক্তি যতই বৃদ্ধি হবে এ রকম জুডিশিয়াল ক্যু বলেন, আর এসব করার চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র বলেন, এগুলো থেকে মানুষ বিরত থাকবে।’
উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে থাকা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর ৩৯ দিনের ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যান। পরে তিনি বিদেশ থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন এবং কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এ ঘটনার এক বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে বসে একটি বই প্রকাশ করে তিনি নতুন করে আলোচনায় আসেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, সরকার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২২:৩২ ১৫৫ বার পঠিত