
গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময় সংসদের বাইরে থেকে বিএনপি টিভি-রেডিও-সংবাদপত্রে যে প্রচার পায়, ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ তা পায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ দাবি করেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (এনআইএমসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) পরিচালিত চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ বিষয়ক দুটি ডিপ্লোমা কোর্স সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- টিভিতে নাকি তাদের এক-দুই সেকেন্ডের বেশি দেখানো হয় না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, অথচ একথাটিই তিনি টিভিতে প্রায় এক মিনিট ধরে বলেছেন। তারা প্রায় প্রতিদিনই দুবার করে গণমাধ্যমে কথা বলেন, প্রেস ব্রিফিং করেন, আর বলেন যে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির লাগাতার অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তারা চিকিৎসকদের চেয়েও বেশি জানে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তা দুঃখজনক। এই হাঁটুর ব্যথা নতুন নয়, এরপরও খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দু’টি কেবিন অনেকদিন ধরে বরাদ্দ, এমনকি এখনও খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না। খালেদা জিয়ার জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি উপমহাদেশের ইতিহাসের সব রীতিনীতি ভেঙ্গে খালেদা জিয়ার পছন্দের গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে কারাগারে তার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বিশেষ বিছানা, ফ্রিজ, টিভি এবং পৃথক রান্না ঘরও। তারপরও তারা এনিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, জনগণের দল হলে বিএনপি জনগণের কাছেই যেতো, কিন্তু তা না করে তারা বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন, যার কোনো ফল নেই।
এদিকে বিসিটিআই’র দুটি ডিপ্লোমা কোর্স সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের সময় তা সমাজের ওপর কি প্রভাব ফেলবে তা সবার আগে বিবেচনায় আনতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, ভৌত বা বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি আত্মিক ও মানবিকবোধের উন্নয়নের মাধ্যমের সম্ভব জাতির উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিটিআই’র প্রধান নির্বাহী ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব আবদুল মালেক, এনআইএমসি’র মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ এবং অন্যতম কোর্স পরিচালক মারুফ নেওয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০২:৫৬ ১৪১ বার পঠিত