
ক্যাবল অপারেটরদের বিজ্ঞাপনমুক্ত বিদেশি চ্যানেল প্রচার ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগে ব্রতী হবার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোয়াব সমন্বয় পরিষদের সাথে বৈঠকে মন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক ও মিজান-উল-আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনগতভাবে কেউ বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। ইতিমধ্যেই আমরা এ ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ডাউলিংকের অনুমতি যারা পেয়েছেন তাদেরকে নোটিশ করা হয়েছে, তারা নোটিশের জবাব দিয়েছেন। কিছু ব্যবস্থা তারা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ব্যবস্থা কতটো কিভাবে করবেন এ ব্যাপারে তারা ১৫ দিন সময় চেয়েছেন এবং আমরা সেই সময় মঞ্জুর করেছি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ডাউনলিংক করা চ্যানেল বিতরণকারীদের বক্তব্য হচ্ছে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে তাদেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে। যাতে সমগ্র দেশে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এই আইনটি শুধু বাংলাদেশে আছে তা নয়, পাকিস্তানে, ভারতে যে সমস্ত চ্যানেল দেখানো হয় সে সমস্ত চ্যানেল ভারতের চ্যানেল বিজ্ঞাপন ছাড়াই দেখানো হয়। বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল অন্যদেশে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। এই আইন ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে সব জায়গায় আছে। আমাদের দেশে সেটি মানা হচ্ছিল না। আমারা সেই আইন প্রয়োগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দুটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা চিঠি দিয়েছি তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে। সে বিষয়ে আপনাদের তৎপর হতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশের সকল জেলার ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা এবং বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোকে তাদের ফ্রিকোয়েন্সি পাবার ক্রম অনুযায়ী ক্যাবল নেটওয়ার্ককে সম্প্রচারের নির্দেশনা দেন। অতিশীঘ্রই টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এ্যাটকো কোয়াবকে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের ক্রম তালিকা পুণরায় সরবরাহ করবে, বলেন মন্ত্রী।
‘দেশে প্রায় ৬ হাজার কেবল অপারেটর প্রায় ৩ কোটি গ্রাহকের কাছে দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল পৌঁছে দিচ্ছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমতি দিয়ে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের যাত্রা শুরু করে। সেই অভিযাত্রা বাংলাদেশে এখন প্রায় ৩৩টি চ্যানেল অনরিয়ারে আছে। ৪৪টি চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেটি পশ্চিম বাংলার চেয়েও অনেক বেশি। পশ্চিম বাংলায় ও কোলকাতায় এতো চ্যানেল নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার যে গণমাধ্যমের বিকাশের মাধ্যমে কাজ করছে সেটিরই বহিপ্রকাশ হচ্ছে এতো ব্যাপক বিস্তৃতি ক্যাবল টেলিভিশন। এই ক্যাবেল টেলিভিশন জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ক্যাবেল নেটওয়ার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক এস এম শামসুল রহমান শিমুল, সদস্য কাজী বর্ণ উত্তম, সৈয়দ হাবিব আলী, সৈয়দ মোশারফ আলী, লুৎফর রহমান নাসিম, এনামুল হক ছুটন, মোঃ আল আমিন, জনাব মোঃ মুকিম, দিদার, মোঃ মিন্টু, মোঃ খোকন, সৈয়দ সাজ্জাদ, মোঃ সোহেল, আলীম, মোঃ দীপু ও পিন্টু বৈঠকে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:৪৭ ২০৩ বার পঠিত