
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ এপ্রিল ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’
উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয়
স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জনগণের
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য
‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি
মনে করি।
জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার
ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সারাদেশের হাসপাতালগুলোর
শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নিয়োগ দেয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য
সাপোর্টিং স্টাফ। মেডিকেল শিক্ষার প্রসারে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার
কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টিসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা
সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশে চিকিৎসা সেবার মান
যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে
মা ও শিশু মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমি
স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে জনগণকে
সেবা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তরের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আমাদের বিশেষ
গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য
করতে সংশ্লিষ্ট সকলে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাবেন - এ
প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির
সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:১২:১৮ ২০৭ বার পঠিত