
‘জীবনকে অর্থবহ করার জন্য সুস্থ ও সুন্দর কণ্ঠস্বরের কোনো বিকল্প নেই।
জীবনে চলার পথে কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা আমাদের শাণিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার
করব উন্নয়নের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কথা বলার জন্য।’
আজ বিশ্ব কন্ঠ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
ডাঃ মিলন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বেসামরিক বিমান
পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।
প্রতিমন্ত্রী কণ্ঠস্বরের যত্ন নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ১৯৭১ সালে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে অনুপ্রাণিত হয়েছিল
বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক। তার অসাধারণ কণ্ঠস্বরের কারণে জাগ্রত হয়েছিল
বাঙালি জাতি। তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়
স্থান পেয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জর্জ
হ্যারিসন ও পন্ডিত রবিশংকরের কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, বাংলাদেশের শিল্পীদের রণাঙ্গনে
পরিবেশিত গান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিটি অনুষ্ঠান বাঙালি
জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে ও প্রেরণা যুগিয়েছে। একটি সুস্থ ও সুন্দর কণ্ঠস্বর
আমাদের জন্য একটি বড় উপহার। সময়ের সাথে সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী
আবিষ্কার হচ্ছে। অতীতে চিকিৎসা ছিল না এমন অনেক রোগেরই বর্তমানে
চিকিৎসা রয়েছে। অচিরেই হয়তো আমরা শুনতে পাবো চিকিৎসা নাই এমন কোন
রোগের অস্তিত্ব নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দেশে
চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ রোগ মুক্ত হোক, মানুষ ভালো থাকুক। সকল রোগের
চিকিৎসা আবিষ্কার হোক। কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব আমরা সবাই অনুধাবন করি। বিশ্ব কণ্ঠ
দিবস পালন সফল ও সার্থক হোক।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক
ডাঃ মনিলাল আইচ, অধ্যাপক ডাঃ খোরশেদ আলম মজুমদার, অধ্যাপক ডাঃ শেখ
হাসানুর রহমান ও অধ্যাপক ডাঃ বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী র্যালির মাধ্যমে বিশ্ব কণ্ঠ দিবসের
অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৩:৫২ ১৮১ বার পঠিত