
কৃষি উন্নয়নে যান্ত্রিকীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিকীকরণের প্রসার
ঘটাতে সরকার উন্নয়ন সহায়তা বা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতিতে
ভবিষ্যতে প্রণোদনা বা বিনিয়োগ হিসেবে ভর্তুকি আরো বাড়ানো হবে।
আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষির প্রয়োজনে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার এখন
অনস্বীকার্য। উন্নত দেশগুলো আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষিতে ব্যাপক
পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। বাংলাদেশেও কৃষিতে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে
প্রান্তিক চাষিদের কাছে পৌঁছানোর ওপর কৃষি উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল।
প্রযুক্তি প্রয়োগে কৃষির অন্যান্য শাখা তথা পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য চাষেও
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট
চত্বরে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধনী
দিনের ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক
সেমিনারে এসব কথা বলেন। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দেশের জন্য উপযোগী কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও আমদানির বিষয়ে
বিজ্ঞানী ও ব্যবস্যায়ীদেরকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান মন্ত্রী। উদ্যোক্তারা
এগিয়ে আসলে অবশ্যই হালকা বা মাঝারি কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন পাওয়ার টিলার,
ইঞ্জিন, ট্রান্সপ্লান্টার ও ছোট আকারের কম্বাইন হারভেস্টার এগুলি তৈরি হতে পারে
এখনই। এসব কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তিনি
উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের জন্য
উদাত্ত আহ্বান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য
রাখেন প্রকল্প পরিচালক শেখ মোঃ নাজিম উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ মঞ্জুরুল আলম, মূল প্রবন্ধেন ওপর
আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস প্রফেসর ড. এমএ
সাত্তার মন্ডল।
এবার জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলায় এ পর্যন্ত সরকারি ৮টি ও বেসরকারি
২১টি প্রতিষ্ঠান এবং ৩টি প্যাভেলিয়ন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩০:১০ ২৪৮ বার পঠিত