তেলের পর বাজারে বেড়েছে চিনি ও আটার দাম

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » তেলের পর বাজারে বেড়েছে চিনি ও আটার দাম
সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১



---

কেবল চাল-তেল নয়, বাজারে বেড়েছে চিনি ও আটা-ময়দার দামও। প্রতি কেজি চিনিতে ১২ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আটার দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা। এ জন্য খুচরা বিক্রেতারা আমদানিকারকদের দুষছেন। যদিও বরাবরের মতো মুখ খুলছেন না আমদানিকারকরা। খাদ্য সচিব জানিয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্বিগুণ আটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বছরে দেশে চিনির চাহিদা ১৮ লাখ মেট্রিক টন। অথচ দেশে উৎপাদিত হয় মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন। বাকি সব চিনিই আনতে হয় অন্যান্য দেশ থেকে। দেশি আখের চিনি লাল। আর আমদানি করাটা সাদা।

সম্প্রতি পাইকারি ও খুচরা দুই পর্যায়েই চিনির দাম বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজির চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়। খুচরা বাজারে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। অন্যদিকে ৬৬ টাকার প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৮ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সাদা চিনি প্রতি প্যাকেটে ১০ থেকে ১২ টাকা করে বেড়েছে। ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা ছিল কিন্তু এখন আমরা সেই চিনি বিক্রি করছি ৩ হাজার ১০০ টাকা বস্তা।

পাইকারি ও খুচার পর্যায়ে বেড়েছে আটার দামও। প্রতি কেজি আটা পাইকারি বাজারে বিক্রি হতো ২৪ টাকায়। এখন তা ২৯ টাকা। আর খুচরা বাজারের ২৮ থেকে ৩০ টাকার আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়।

বাংলাদেশ পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হাজী মো. আবুল হাসেম বলেন, ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয়। কারখানার মালিকরা কম দামে না দিলে আমরা কি করে কম দামে বিক্রি করবো।

দাম বাড়ার জন্য আমদানিকারকদের দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে আমদানিকারক বড় দুই প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ ও সিটি গ্রুপের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউই কথা বলতে রাজি হননি। এ অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, দামের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চিনির বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয় দেখে। আর আটার বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখে।

তবে শিল্প সচিব জানালেন, আমদানি করা চিনির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের করার কিছু নেই।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। অন্য কোনও কারণ থাকলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।

আর খাদ্য সচিব বললেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন তারা। দেশে বছরে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন গম লাগে। অথচ উৎপাদন হয় মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। বাকি ৫০ লাখ টনই আনতে হয় আমদানি করে।

বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৬:২০   ৮৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বঙ্গবন্ধুর জীবন এক বৃহৎ মহাকাব্য - কৃষিমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়নের তাগিদ কৃষিমন্ত্রীর
নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসি’র খামার পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী
তেলের পর বাজারে বেড়েছে চিনি ও আটার দাম
দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির উন্নতি না হলে মানুষের আয় বাড়বে না - কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশনা শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মনোযোগী হওয়ার তাগিদ
বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
দেশে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে - কৃষিমন্ত্রী
উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আরো উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হবে - কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে - বাণিজ্যমন্ত্রী

আর্কাইভ