পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেট, দুর্ভোগ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পরিবহন ধর্মঘটে অচল সিলেট, দুর্ভোগ
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯



---

সাত দফা দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করছে সিলেট বিভাগের পরিবহন শ্রমিকরা। সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

সকাল থেকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কদমতলী, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুর, তেতলী এলাকায় পিকেটিং করছেন শ্রমিকরা। ফলে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা। চলছেনা কোন ধরনের যানবাহন।

ঢাকা থেকে সিলেট আসা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, ব্যবসার কাজে শনিবার সিলেট আসেন তিনি। আজ ঢাকা ফিরে যাবার জন্য বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ধর্মঘটের কথা জানতে পারেন। এখন সারাদিন বসে রাতে যেতে হবে তাকে। কামালের মতো শত শত যাত্রী গন্তব্যে যেতে পারছেন না।

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, দুর্ঘটনার কারণে বাস চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে শ্রমিকদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মামলার এজাহারে ৩০২ ধারা যুক্ত করা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। এই ধারা বাতিল, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ সাত দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে পরিবহণ শ্রমিকরা।

দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার স্থলে ৩০৪ বি ধারা যুক্ত করার দাবি সহ সাত দফার দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানা পাঁচ লাখের পরিবর্তে ৫০ হাজার করা, এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন না করা ও গাড়ি রিকুইজিশন সময়ে শ্রমিকদের খোরাকি ও ফুয়েল প্রদান করা, সড়ক মহাসড়কে চেকিংয়ের নামে গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল বন্ধ করা, রেকারিংয়ের নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা এবং সড়ক মহাসড়কে বিভিন্ন সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করা।

গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় উদার পরিবহনের একটি বাসে ভাড়া নিয়ে সিকৃবি শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিমকে সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে বাসের সহকারী ধাক্কা দিয়ে ওয়াসিমকে ফেলে দিলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওয়াসিমের মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চালক জুয়েল, হেলপার মাসুককে আটক করে।

২৫ মার্চ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর থানায় বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার সেফুল মিয়াকে আসামি করে মামলা করেন (মামলা নং-২২)। চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার হলেও বাসের সুপারভাইজার এখনও পলাতক রয়েছেন।

চালক ও হেলপার আদালতে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জাবনবন্দিও দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৪:৪২   ২২২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ