
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবর কথিত জেএমবি কর্মী হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান ডাকযোগে হুমকি দিয়ে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। বায়তুল মোকাররমের আশপাশের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দাবি জানিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজধানীর বংশালের ১৪৭/এ, মালিটোলার ঠিকানা ব্যবহার করে হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান নিজেকে জেএমবি কর্মী পরিচয় দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল চিঠিটি ডাকযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠান। চিঠিটি গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা মহানগর পুলিশকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। জেএমবির ওই চিঠিতে বলা হয়- ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধা কিলোমিটারের মধ্যে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার ১০ কাজী আবদুল হামিদ লেনের ‘হোটেল স্বর্নালী’তে ৩য় থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি তরুণীকে দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।’ চিঠিতে বলা হয়- হোটেলের পরিচালকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত। দৈনিক যা আয় হয় তার বেশিরভাগ টাকা ওইসব অসাধু কর্মকর্তাদের মধ্যেও ভাগ-বাটোয়ারা হয় বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে লালবাগ জোনের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়- ‘এসব অন্যায় ব্যভিচার আমরা সহ্য করবো না। যদি ওই হোটেলের অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হয় তাহলে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বোমা ও টাইম বোমা চার্জ করে বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বলবো, ব্যভিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে। বোমার আঘাতে ইমাম, খতিব, মোয়াজ্জিন কাউকে শেষ করতে পারলেই কেল্লা ফতেহ। পুরো বিশ্ব জানবে, বর্তমান সরকার ও তার পুলিশ কী জঘন্য কাজে লিপ্ত। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ৫০জন মানুষকে মারা হয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে তার কয়েকগুণ নামাজিকে বায়তুল মোকাররমের মধ্যে মেরে নিরাপদে চলে আসতে সক্ষম। তাই অবিলম্বে এ অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৫:৩৫ ১৫৭ বার পঠিত