দু’দিন পরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের নির্বাচন। মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। তবুও উত্তেজনার তীব্রতা ক্লাবজুড়ে। চলছে প্রার্থীদের নিয়ে নানা আলোচনা। এদিকে ক্লাব নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে বেশ আলোচনা এসেছেন এড. সরকার হুমায়ূন কবীর।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত এই সাহসী প্রবীণ সংগঠক ইতোমধ্যে ভোটারদের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছেন। স্পষ্টভাষী ও প্রতিবাদী স্বভাবের এই প্রার্থীর দিকে ক্রমেই ভোটাররা ঝুঁকছেন বলে জানা গেছে। ভোটারদের কাছ থেকে জানা যায় গত বছর ক্লাবে অর্থ দূর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠ উচ্চকিত করেছিলেন তিনি। এ কারণে তখন ক্লাব সদস্যদের কাছে বেশ সমাদৃত হন।
নিজের প্রার্থীতা ও প্রচারণা সর্ম্পকেও তেমন কিছুই বলেননি এই প্রার্থী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবের সদস্য। দল-মত নির্বিশেষে আমি সবার ভোট পাব বলে আশা করছি। ভোটাররাও আমাকে আশ্বস্ত করছেন। বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি ক্লাবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, উন্নয়নের নামে অপচয় করা হবে না। সকল মেম্বারদের মতামত নিয়ে মাষ্টার প্লান করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো।
দূর্নীতি করবো নাম প্রশয়ও দিব না- স্বজনপ্রীতি সে¦চ্ছাচারিতা নয়, উন্নয়নের নামে অপচয় রোধে কাজ করার শ্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি অপর প্রার্থীরা হলেন- সেলিম আহমেদ হেনা, মাহফুজুর রহমান খান, শেখ হাফিজুর রহমান।
এক সময়ের প্রথম সারির ফুটবলার এড. সরকার হুমায়ূন কবীর নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক, কলরব বিদ্যালয়ে সহ-সভাপতি, মগ্যান বালিকা বিদ্যালয়ের সদস্য, লায়ন ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ, ক্রীড়া সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট এর সদস্য, টেক্সাস বার’র সাবেক সহ-সভাপতি সহ অসংখ্য পদে আদৃষ্ট ছিলেন, আছেন।
তার পিতা মরহুম এড. আলফাজ উদ্দিন আহম্মেদও আইনপেশার সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তার স্ত্রী শিক্ষিকা, দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে প্রকৌশলী।
অভিজাত শ্রেণীর ক্লাবব বলে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচন আগামী ২৩ ডিসেম্বর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি খালেদ হায়দার কাজল। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন রাশেদ সারোয়ার, জিএম ফারুক এবং মাসুদ-উর-রউফ এবং এম সোলায়মান। আপীল বোর্ডের সদস্যরা হলেন-হুমায়ন কবির শিল্পী, ডা. শাহনেওয়াজ ও মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার শেষ দিন। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলো আপীল শুনানী। গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ক্লাব থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণ করা হয়। মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয় ২৯ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২ ডিসেম্বর।
১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ইউরোপিয়ান ক্লাব পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করা নারায়ণগঞ্জ ক্লাব নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৮:৪৮ ৫৫৫ বার পঠিত