
আজ (শনিবার) ০৪ মে’২০১৯
১৫০২ সালের ৪ঠা মে ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ সমূদ্র ভ্রমণে গিয়ে কোস্টারিকা আবিস্কার করেন। স্পেনের এই আবিস্কারকের মাধ্যমে স্পেন কোস্টারিকা দখলে নেয় এবং প্রায় তিন শতাব্দী দেশটিকে দখল করে রাখে। কোস্টারিকার জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ নিলে ১৮২১ খ্রীস্টাব্দে স্পেন কোস্টারিকা থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। স্বাধীনতা লাভের পর কোস্টারিকা মেক্সিকোর সাথে জোটবদ্ধ হয় এবং ১৯৬০ খ্রীস্টাব্দে গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও এলসালভেদরের সাথে যৌথ বাজার গড়ে তোলে। ৫১ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ কোস্টারিকা মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত এবং নিকারাগুয়া ও পানামা, কোস্টারিকার প্রতিবেশী দেশ।
* ১৮০৭ সালের ৪ঠা মে ফ্রান্স ও ইরানের মধ্যে ফিংকেষ্টাইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সে সময় ফ্রান্সের নেতা নেপোলিয়ান ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। ১৬ ধারা বিশিষ্ট ঐ চুক্তিতে বলা হয়, রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য ইরানের প্রয়োজনীয় অস্ত্রসস্ত্র ফ্রান্স তেহরানকে সরবরাহ করবে। ঐ চুক্তিতে আরো বলা হয়, ইরানের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ফ্রান্স তার কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ ও গোলন্দাজ ইউনিটের কর্মকর্তাকে ইরানে পাঠাবে। এর বিপরীতে ইরান বৃটেনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং ভারতে ফরাসী বাহিনী প্রেরণের কাজে প্যারিসকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্র”তি দেয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই রাশিয়ার সাথে ফরাসী নেতা নেপোলিয়ান বৃটিশ বিরোধী সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার পর ফিংকেষ্টাইন চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে ইরান আগ্রাসী রুশ বাহিনীর সামনে অসহায় হয়ে পড়ে এবং ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়।
* ৫১ বছর আগের আজকের দিনে, অর্থাৎ ১৯৫৭ সালের ৪ঠা মে কুখ্যাত ম্যাককার্টিযম দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা ও মার্কিন সিনেটর জোসেফ ম্যাক কার্টি মৃত্যুবরণ করেন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শীতল যুদ্ধের সময় তিনি মার্কিন সিনেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের প্রধান ছিলেন। ম্যাক কার্টি কমিউনিস্ট ও মার্কিন বিরোধীদের দমন করার লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল পাশ করান। ঐ আইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে কঠোর হাতে দমন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বহু লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীকে ম্যাক কার্টির নির্দেশে হত্যা করা হয়। ১৯৬০ এর দশকে গোড়ার দিকে ম্যাক কার্টিযম দৃষ্টিভঙ্গির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে শুরু করে।
১৯৫৮ সালের এই দিনে লেবাননের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ক্যামিলি শ্যামৌনের শাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে ব্যাপক গণবিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। শ্যামৌন ১৯৫২ সালে লেবাননের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশে আরব বিরোধী ও পাশ্চাত্যঘেঁষা নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেন। কিন্তু লেবাননের সংখ্যাগুরু মুসলমানরা এ নীতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রেসিডেন্ট শ্যামৌন লেবাননের সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান ম্যারোনাইট সঞ্চম্প্রদায়কে সারাদেশের কর্তৃত্ব প্রদানের ঘোষণা দিলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। উপায়ন্তর না দেখে প্রেসিডেন্ট ক্যামিলি শ্যামৌন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চান এবং মার্কিন সরকারও কালবিলম্ব না করে লেবাননে সৈন্য পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন পর গৃহযুদ্ধের অবসান হলেও ক্যামিলি শ্যামৌন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। লেবানন থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়ার পর ফুয়াদ শাহাব দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৩২৭ হিজরির আজকের দিনে ইরানের জনগণ সংবিধান লাভ করে। ইরানের তৎকালীন কাজার বংশীয় শাসন মোহাম্মাদ আলী শাহ সংবিধানপন্থী বিপ্লবীদের ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে সংবিধান প্রণয়নের বিষয়টি মেনে নেন। এর মাধ্যমে জনগণ, বিশেষ করে বিপ্লবীদের কঠোর হাতে দমনকারী মোহাম্মাদ আলী শাহ, সরকার বিরোধীদের দাবির কাছে আত্মসমর্পন করেন। তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইরানের পার্লামেন্টে সংবিধান বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিল পাঠাতে বাধ্য হন। এর মাধ্যমে ইরানে এক বছরের গোলযোগের অবসান ঘটে।
ইংরেজদের সঙ্গে শ্রীরঙ্গপত্তমের যুদ্ধে টিপু সুলতান নিহত (১৭৯৯)
কলকাতায় পোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা (১৮০০)
পানামা খাল খনন শুরু (১৯০৪)
মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত (১৯৭৯)
যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রনায়ক মার্শাল ইয়োসিপ ব্রোজ টিটুর মৃত্যু (১৯৮০)
সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ আবুল ফজলের মৃত্যু (১৯৮৬)
অর্থনীতিবিদ আখলাকুর রহমানের মৃত্যু (১৯৯২)
কবি সানাউল হকের মৃত্যু (১৯৯৩)
গাজা ও জেরিকোতে স্বায়ত্তশাসন দিতে ইসরাইল এবং পিএলও’র মধ্যে
ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯৪)
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৬:৫৮ ২১৮ বার পঠিত