
ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ টাকা পেয়েছে আর্জেন্টিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাবিক মো. আলী আসগরের পরিবার। রোববার সচিবালয়ে বাবা মো. আলী আকবর খাঁন এবং মা রাজিয়া আকবরের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকার এই চেক তুলে দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫১তম ব্যাচের ডেক ক্যাডেট মো. আলি আজগর চট্টগ্রামের সরকারি শিপিং অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ম্যানিং এজেন্ট (নাবিক নিয়োগের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান) মেসার্স মেরিন হাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনাধীন ‘এমভি ডালি’ জাহাজে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৮ জুলাই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো বন্দরে চীনের এশিয়া মেরিন প্যাসিফিক কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত ‘এমভি এশিয়া পার্ল-ভি’ জাহাজে যোগ দেন তিনি।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জাহাজটি আর্জেন্টিনার পুরতো স্যান মার্টিন বন্দরে অবস্থানকালে মাস্টারের অনুমতি নিয়ে শোর লিভে (জাহাজ থেকে নেমে তীরে সময় কাটানো) যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আলি আজগর। ১২ অক্টোবর তার মরদেহ ব্রাজিল থেকে দেশে এনে বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে মেরিন হাইভ লিমিটেডের বিভিন্ন ক্যাডেটের সহায়তায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা সংগ্রহ করে আলি আজগরের মায়ের নামে ব্যাংকে জমা করা হয়। পরে মেরিন হাইভ লিমিটেডের উদ্যোগে বীমা কোম্পনি প্রটেকশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি ক্লাবের (পি অ্যান্ড আই ক্লাব) সহযোগিতায় এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের নির্দেশনায় পারিবারিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ডলারের সমপরিমাণ ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ টাকা গ্রহণ করা হয়।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ দিয়ে এই শোক ভুলে যাওয়া যায় না। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ খুব ভারী লাগে। সন্তানকে ঘিরে যে সম্ভাবনা ছিল তা শুরুতেই নিভে গেছে। তারা শুধু সন্তানকেই হারাননি, আমরাও একজন দক্ষ নাবিক হারিয়েছি। একজন নাবিক তৈরি করা সহজ ব্যাপার নয়, দুঃসাহসিক কাজ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আলী আসগরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার মধ্য দিয়ে আমরা একটা বার্তা দিতে চাই, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এই সেক্টরে প্রত্যেকটি নাবিকের পাশে আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:৩৫ ১৫৯ বার পঠিত