রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, তিনি রংপুরকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করবেন। রংপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিগত মেয়রের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা একটি আধুনিক, বসবাসযোগ্য, পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ার জন্য শতভাগ চেষ্টা করব। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে নগর উন্নয়ন কমিটি গঠন করে তাদের পরামর্শে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন তরান্বিত করব।
তাছাড়া সরকার ও বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে নাগরিকদের দাবি-দাওয়া পূরণে সচেষ্ট থাকব। সিটি কর্পোরেশনকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে না বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাপার মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা) পান ৬২ হাজার ৪০০ ভোট। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রিটার্নিং ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ সরকার বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে বিএনপি মহানগর সহ-সভাপতি কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ) ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এছাড়া মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু (হাত পাখা) ২৪ হাজার ৬ ভোট, এইচএম এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম আসিফ শাহরিয়ার (হাতি) ২ হাজার ৩১৯ ভোট, বাসদের আব্দুল কুদ্দুস (মই) ১ হাজার ২৬০ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার (আম) ৮১১ ভোট পেয়েছেন। ভোট পড়ে ৭৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালের ২৮ জুন সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করার পর দ্বিতীয় ভোট হলো এবার। প্রথম নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়েছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:১৩ ৩৬১ বার পঠিত