রংপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বড় ব্যবধানে পরাজয়ের কারণ চিহ্নিত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, রসিকে এত বড় ব্যবধানে কেন দলের প্রার্থী হারলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল ছিল কিনা, কারা দলীয় প্রার্থীকে অসহযোগিতা করেছেন, এসব বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলেছেন তিনি। তারা বলেন, রসিক নির্বাচনে দলের পরাজয়কে বড় করে দেখছে না আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনে বড় ব্যবধানের পরাজয় অপ্রত্যাশিত ছিল।
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বৈঠকে নেতাকর্মীদের ‘ওভার কনফিডেন্ট’ (অতি আত্মবিশ্বাস) হতে নিষেধ করেছেন বলেও জানান সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে উপস্থিত নেতারা। তারা বলেন, ওভার কনফিডেন্ট ক্ষতির কারণ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক জেলা সফরে বের হবে উল্লেখ করে বৈঠকে উপস্থিত দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এই জেলা সফর আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিরও অংশ। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষদিবস পালন করা হবে। এছাড়া ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেরও অনুষ্ঠান থাকবে দলের। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ফোকাস পয়েন্টে থাকবে। এখন থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র বার বার জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ বলেন, নেত্রী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ঢাকা উত্তর সিটিতে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেয়া হবে। আর আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাদের ভোটারদের কাছে সরকারের উন্নয়নকাজ তুলে ধরার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের জরিপ চলছে। জরিপ শেষে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক এবং সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে সভায় তিনটি পৃথক শোক প্রস্তাব আনা হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিয়ার মোশাররাফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, জাফরউল্যাহ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আবদুল মতিন খসরু, রমেশচন্দ্র সেন ও আবদুল মান্নান খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩১:৫৭ ৪০৫ বার পঠিত