আজ (শনিবার) ১১ মে’২০১৯
১৮৬৪ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে বৃটিশ লেখিকা এটেল লিলিয়ান উইনিচ জন্মগ্রহন করেন ৷ তিনি ২১ বছর বয়সে রাশিয়া যান এবং ঐ দেশের ভাষা শেখার পর সাহিত্য ও লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার প্রথম ও সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাসের নাম ছিল গ্যাড-ফ্লাই বা ডাঁশ। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে জ্যাক ডায়মন্ডের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশ লেখিকা লিলিয়ান উইনিচ ১৯৬০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
আজকের দিনে স্পেনের সমকালীন চিত্রশিল্পী ও কুবিসম পদ্ধতি’র প্রতিষ্ঠাতা সালভেদর ড্যালি জন্মগ্রহন করেন। কিশোর বয়স থেকেই তার শিল্প প্রতিভার পরিচয় প্রকাশ পেতে শুরু করে এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠেন। চিত্রকর্মের প্রতি ড্যালির প্রবল আগ্রহ ছিল এবং তিনি মনপ্রাণ দিয়ে চিত্রাঙ্কনে মেতে উঠতেন। আধুনিক চিত্রকর্মের পূর্ণতায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ সালভেদর ড্যালি ১৯৮৯ সালে পরলোক গমন করেন।
১৯৩৫ সালের ১১ই মে জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথম টেলিভিশন প্রেরণ যন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে এবং এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত পৃথিবীতে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। টেলিভিশনের মূল আবিস্কারকদের অন্যতম পাওয়েল নিপকু’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বার্লিনের ঐ টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয় এবং পাওয়েল নিপকুর নাম অনুসারে টিভি কেন্দ্রটির নামকরণ করা হয়। উল্লেখ করা যায়, নিপকু চলমান ছবিকে বেতার তরঙ্গে পরিণত করে তা আবার যন্ত্রের মাধ্যমে ধরার পদ্ধতি আবিস্কার করেছিলেন ৷ তার আবিস্কৃত টেলিভিশন বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে আজকের অত্যাধুনিক টেলিভিশনে রূপ নিয়েছে।
* ১৯৪০ সালের ১১ই মে জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনের শিকার বেলজিয়ামকে রক্ষা করার জন্য বৃটিশ ও ফরাসী সেনাদের যৌথ বাহিনী বেলজিয়ামে প্রবেশ করে। বেলজিয়ামকে রক্ষা করার স্বার্থে বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, তা ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু ফরাসী ও বৃটিশ সেনাদের যৌথ বাহিনী বেলজিয়ামের সেনাবাহিনীর সাথে একত্রিত হয়েও দেশটিকে জার্মানীর আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারে নি। জার্মান সেনারা তিন দেশের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে গোটা বেলজিয়াম দখল করে নেয়।
* ৩৯ বছর আগের এই দিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২৭৮ নম্বর প্রস্তাব পাশ করে বাহরাইনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। বাহরাইনে পাঠানো জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি দেশটির গোত্র প্রধানসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সাথে সাক্ষাতের পর বাহরাইনকে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পারস্য উপসাগরে অবস্থিত বাহরাইন ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত ইরানের ভূখন্ডের অন্তর্গত ছিল। তবে ইসলামী সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দেশটি মুসলিম সা¤্রাজ্যের ভেতরে চলে যায়। ফার্সি সপ্তম শতাব্দিতে বাহরাইন পুণরায় ইরানী ভূখন্ডের মধ্যে চলে আসে৷ ফার্সি ১১৬২ সালে বাহরাইন, কুয়েতের শাসকবর্গের হাতে চলে যায়।
তবে পারস্য উপসাগরে বৃটিশদের আধিপত্য বিস্তারের পর বাহরাইনের শেখরা বৃটিশদের সাথে সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগ মুহুর্তে ফার্সি ১২৯৩ সালে বাহরাইন সম্পূর্ণভাবে বৃটিশ উপনিবেশের অন্তর্গত হয়। তবে এতকিছুর পরও ইরান সব সময় বাহরাইনকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এসেছে এবং দেশটির ওপর বৃটিশরা আধিপত্য বিস্তার করার পর তেহরান এ ব্যাপারে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফার্সি ১৩৫০ সালে বৃটিশ উপনিবেশবাদের পতনের শেষ দিকে এসে বাহরাইন তথা পারস্য উপসাগর থেকে বৃটিশ সেনা প্রত্যাহার করা হয়। সে সময় ইরানের শাহ সরকারের সম্মতিতে বাহরাইনের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ব্যাপারে দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাহরাইনের জনগণ স্বাধীনতা লাভের পক্ষে রায় দেয় এবং জাতিসংঘও তা মেনে নেয়৷ ছোট-বড় দ্বীপ মিলিয়ে বাহরাইনের আয়তন ৬৯০ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। পারস্য উপসাগরের দক্ষিণে অবস্থিত বাহরাইনের শাসক হচ্ছেন একজন সুলতান।
১৪২৫ বছর আগের এই দিনে হযরত আলী (আঃ) ও হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা)র কন্যা হযরত যেইনাব (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষিত ও জ্ঞানী হিসেবে সে সময় হযরত যেইনাবের খ্যাতি ছিল। ইসলামের এই মহিয়সী নারী কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার সময় তার ভাই ইমাম হোসেইন (আঃ) এর সাথে এজিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ইমাম হোসেইন ও তার পুরুষ সঙ্গীসাথীদের শাহাদাতের পর হযরত যেইনাবকে অন্যান্যদের সাথে বন্দী অবস্থায় সিরিয়ায় এজিদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রতি বছর হযরত যেইনাবের জন্মদিনকে নার্স দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৯৮ সালের ১১ই মে ভারত সরকার দেশটির মরুরাজ্য রাজস্থানের ভূগর্ভে ৩টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। তবে এর কয়েক দিনের মাথায় ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বি দেশ পাকিস্তানও ভূগর্ভে ৫টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
অস্ট্রিয়া, হল্যান্ড ও ইংল্যান্ড (মিত্র শক্তি) এর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে ফরাসি বাহিনীর বিজয় (১৭৪৫)
ইংল্যান্ডের কমন্স সভায় প্রধানমন্ত্রী স্পন্সার পারসিভেল নিহত (১৮১২)
ঐতিহাসিক আজাদী আন্দোলনের সিপাহীদের দিল্লী অধিকার। বাহাদুর শাহকে স¤্রাট ঘোষণা (১৮৫৭)
ভারতের কোলকাতা হাইকোর্টে দায়েরকৃত কোরআন বাজেয়াপ্ত মামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ । পুলিশের গুলি বর্ষণ। রাজশাহীতে ১১ জন নিহত (১৯৮৫)
গাজায় ২৭ বছরের ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান (১৯৯৪)
ভারত রাজস্থানের ভূ-গর্ভে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। উপমহাদেশে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি (১৯৯৮)
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৯:২০ ১৯২ বার পঠিত