দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফি একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ২য় সমবর্তনে তিনি এ কথা বলেন।
সমবর্তনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক শরিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই তারা যেন আমাদের দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষার চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে এবং এগুলোর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান করে নিতে চাই। দারিদ্র দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যত। তাদের সকলের জন্যই আমরা মানসম্মত শিক্ষা এবং সকল সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের নূন্যতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশীদিন চলতে পারবেন না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোন পথ খোলা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৩:৪৪ ৪৬৮ বার পঠিত