
রাজবাড়ী-ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ, এ তিন জেলার মধ্যে অবস্থিত কালুখালী-মধুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথের মধুখালী রেলস্টেশনে লোকাল ট্রেনের ১৫ দিন ধরে কোন টিকিট নেই।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ এক্সপ্রেস ভাটিয়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি মধুখালী রেলস্টেশনে প্রবেশের আগে রেলস্টেশনে প্রায় ৪/৫শ যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রী টিকিট চাইলে দিতে পারছেন না স্টেশন মাস্টার।
এদিকে ট্রেনের ভিতরে টিকিট কালেকশন করেন একজন মাত্র টিটি। তিনি পারছেন না সব যাত্রীকে চেক করতে। ফলে এক শ্রেণির যাত্রী যে যার মত ফাঁকি দিয়ে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছেন। এতে প্রতিদিন রেলের হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। যা কালেকশন হচ্ছে তার মধ্যে আবার টিটির পকেটেও যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। রেলপথে যাতায়াতের নিরাপদ বিধায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভির।
মধুখালী রেলস্টেশন মাস্টার মিন্টু কুমার রায় জানান, মধুখালী রেল স্টেশনে ১৫ দিন কোন লোকাল ট্রেনের টিকিট নাই। যাত্রীদের উত্তর-দক্ষিণের কোন রেলস্টেশনেরই টিকিট দিতে পারছি না। দুই মাস আগে টিকিটের চাহিদা পাঠালেও কর্তৃপক্ষ টিকিট পাঠাচ্ছে না।
মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু জানান, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা রেললাইনটি বর্তমান সরকারের ইচ্ছায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। বিনা টিকিটে যাত্রী চলাচল করলে এ লাইনটি লোকসানের মুখে পড়বে। তিনি দ্রুত টিকিট সরবরাহের দাবি জানান।
মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, লোকসান ঠেকাতে কর্তৃপক্ষকে টিকিট সরবরাহ করতে হবে, যাতে যাত্রীরা টিকিট কেটে উঠতে পারে।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ ঘরমুখো ঈদ যাত্রীর বেশ চাপ রয়েছে কালুখালী-মধুখালী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে। বর্তমানে স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফিরতেও এ লাইনে চাপ রয়েছে যাত্রীদের। কিন্তু টিকিট না থাকার সুযোগে প্রতিদিন বিনা টিকেটে যাত্রী চলাচল করছে। এর ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে এদিকে নজর দেওয়া দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। তা না হলে রেলকে মোটা অংকের টাকা লোকসান গুনতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৫:০২ ১৭১ বার পঠিত