
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘নজরুল কর্নার’ ছিল বলে শোনা যায়। সম্ভবত স্থান
সংকুলান বা অন্য কোনো কারণে বর্তমানে সেটি নেই। কারণ যাই হোক না কেন, অতিশীঘ্রই জাতীয় জাদুঘরে ‘নজরুল কর্নার’ পুনঃস্থাপন ও পুনরুদ্ধার করা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নজরুলের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে এবং নজরুল চর্চা আরো গতি লাভ করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘আলোচনা, নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের ১২০তম নজরুল জন্মজয়ন্তী ছিল অন্যবারের চেয়ে অত্যুজ্জ্বল। ময়মনসিংহ রোডে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় বিলবোর্ড, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন প্রভৃতি দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নকশা অনুযায়ী ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রাপ্ত দু’জন শিল্পীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নজরুল পুরস্কার প্রদান কোনো অনুদান বা সহমর্মিতা নয়, এটি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের প্রাপ্য সম্মান এবং অর্জন। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার পক্ষে স্মারক বক্তৃতা পাঠ করেন তাঁর ছেলে মুসা হুদা। স্বাগত বক্তৃতা করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ভূঞা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত প্রচার, প্রসার ও স্বরলিপি প্রণয়নে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পী সেলিনা হোসেন ও যোসেফ কমল রড্রিক্সকে নজরুল পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৪:১৯ ১৪২ বার পঠিত