স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন অনেক দক্ষ। তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে গুয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এখন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব প্রকার সন্ত্রাস, জঙ্গী ও আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন করতে সক্ষম।’
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার মধ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জমান খান বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারি সব দপ্তর/অধিদপ্তর ও এর মাঠপর্যায়ের অফিসসমূহ জননিরাপত্তা বিভাগ সংক্রান্ত সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গঠনের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিভাগের মূল ভিশন ‘নিরাপদ জীবন ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ’ গঠন করবে।
তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভিশন হচ্ছে সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সোনার বাংলা। এটিই হল কাঙ্খিত গন্তব্য। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পটভূমি বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার রূপকল্প ২০২১’এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এ চুক্তিতে মন্ত্রণালয় কী অর্জন করতে চায়, কীভাবে অর্জন করতে চায় এবং কার জন্য অর্জন করতে চায় অর্থাৎ এর সম্ভাব্য উপকারভোগী কারা, সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসাদুজ্জমান খান বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকার, বিশেষত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প ২০২১ এবং অন্যান্য কৌশলগত দলিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৩:৩৫ ১৩৪ বার পঠিত
