ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন সংকট নেই - নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন সংকট নেই - নৌ প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯



---

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এত মধুর হয়ে গেছে যে, এটা নিয়ে কোন সংকট কিংবা কোন দুশ্চিন্তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের একটি অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতীম দেশ। যেই বন্ধুত্ব আমাদের তৈরি হয়েছে রক্ত দিয়ে লিখে। অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে এ বন্ধুত্ব নষ্ট করার জন্য। পারেনি, পারবেও না। আমরা যদি আমাদের জন্ম, মুক্তিযুদ্ধের কথা লালন করি; তাহলে কখনওই এ সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া কররেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থকে সমান প্রাধান্য দিতে হবে মন্তব্য করে খালিদ বলেন, ভারত বড় দেশ, অবশ্যই তাদের বড় স্বার্থ। আমাদেরও স্বার্থ আছে। এখানো দুই দেশের স্বার্থকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের স্বার্থ যদি ভারত না দেখে, ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যদি ভারতের স্বার্থ না দেখি আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। দুই দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে যোগাযোগ আরো কীভাবে বাড়ানো যায়, আমাদের সে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। আমাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, ভারত আমাদের নৌপথ তৈরির জন্য অনেক সহযোগিতা করেছে। গোমতী দিয়ে কীভাবে ত্রিপুরা যাওয়া যায় আমরা তার উপর নীরিক্ষা চালাচ্ছি। হয়ত ভবিষ্যতে আমরা সে পথ তৈরি করব। আরো অনেক চিন্তা-ভাবনা আমাদের আছে।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র করেছে দাবি করে খালিদ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর মুজিব-ইন্দিরা যে চুক্তিটি হয়েছিল, সে চুক্তি অনুযায়ী চললে আমাদের কোন সমস্যা হতো না। সেই চুক্তিটি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে। এ চুক্তিটি নিয়েও কিন্তু রাজনীতি হয়েছে। যারা রাজনীতি করেছে তারা কিন্তু এ চুক্তি বাতিল করেনি।

সীমান্তে হত্যার বিষয়ে দেশের জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ওয়ান স্টপ সার্ভিসে পাসপোর্ট দিয়ে দেয়া হচ্ছে। রাতের বেলা সীমান্তের কাটাতার টপকানোর কোনো দরকার নাই। এগুলো নিয়ে তিক্ততা তৈরি করাও এক ধরনের রাজনীতি। বৈধ পন্থায় সবকিছুই হচ্ছে। এতগুলো স্থলবন্দর, প্রত্যেকটিতে ইমিগ্রেশন আছে। আমাদের প্রত্যেক জেলায় জেলায় পাসপোর্ট অফিস হয়ে গেছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সারাদেশে তাদের ভিসা সেন্টার চালু হয়েছে। তাহলে আর সমস্যা কোথায়? রাতের বেলায় কাটাতারের কাছে যায় কারা! এদের পরিচয় কী? এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে। সে দেশপ্রেমিক না দেশদ্রোহী এগুলো কিন্তু বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। এগুলো নিয়ে রাজনীতি হয়। আমরা এর আগেও দেখেছি পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানির বিষয়ে নৌ যোগাযোগ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমাদের সমুদ্রগামী যেসব জাহাজ আছে এগুলো প্রতিনিয়ত যাচ্ছে এবং আমাদের বাণিজ্যিক জাহাজও যাচ্ছে। আমাদের ক্রুজ চালু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য যোগাযোগটা অনেক ভাল। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকা-কলকাতা বাস চালু হয়েছিল। ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। নৌ যোগাযোগ চালু হয়েছে।

নিজ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নৌপথকে সচল রাখার জন্য এ মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। তিনিও কিছুদিন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এ নৌপথকে আর গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুন বেড়েছে। ইশতেহার অনুযায়ী আমরা ১০ হাজার কি.মি নৌপথ তৈরি করব। ইতিমধ্যে আমাদের প্রায় ছয় হাজার নৌপথ তৈরি হয়েছে। এ নৌপথ তৈরি হয়ে গেলে আমাদের যোগযোগ ব্যবস্থা আরো সুন্দর হবে। সড়ক ও রেলের ওপর চাপ কমাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও নৌপথকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। আকাশ পথেও ভারতের আরো কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ হবে। যোগযোগ যত বাড়বে সম্পর্কও তত মধুর হবে।

নৌ যোগাযোগসহ স্বৈরশাসকের আমলের সব অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হবে, দেশে কোন অধ্যাদেশ থাকবে না বলেও জানান তিনি। গত ছয় মাসে নদী নিয়ে দেশব্যাপী জনসচেতনতা তৈরি হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। এজন্য গণমাধ্যমকে তিনি ধন্যবাদ জানান। ভারতের পাশাপাশি ভুটানের সঙ্গেও আলোচনা চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী

ইমক্যাব সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক ইশান্ত শুভ পণ্ডিত ও উপদেষ্টা নকীব আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুক, ইমক্যাবের সহ সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুবজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আফরোজ জামান, শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশীষ কুমার দে প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৭:০৩   ১৪৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ