
সিলেট সফররত ভারতের আসাম সরকারের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং আসামের এইপিএ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জনসহ বাংলাদেশ গার্মেন্টস, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে একশটি ইকোনমিক জোন স্থাপন খুবই ভালো উদ্যোগ।
পাটোয়ারি বলেন, সিলেটে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। আসামেও বিনিয়োগের উপযোগী ক্ষেত্র রয়েছে। সিমেন্ট উৎপাদনের সকল কাঁচামাল আসামেই রয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে গৌহাটি-ঢাকা স্পাইস জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপিত হলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন,তেমনিভাবে পর্যটন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ সহজতর হবে।
বৃহস্পতিবার সিলেট চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আসামের সফররত ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আসামের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার ড. মোহাম্মদ তানভির মনসুর, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার এল. কৃষ্ণমূর্তি, আসামের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের এডিশনাল চিফ সেক্রেটারি যীষ্ণু বড়ূয়া, সিলেটের কাস্টমস কমিশনার গোলাম মো. মুনীর, এফবিসিসিআইর পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ, নুরজাহান হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. নাসিম আহমদ, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, প্রাক্তন পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদ উদ্দিন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ কওে, সিলেটের ট্যুরিজম ও আইটি সেক্টর বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জে ১৬৫ একর জায়গার উপর নির্মাণাধীন সিলেট হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান। তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তর করা হলেও এর বিপরীতে ভারতীয় স্টেশনকে আধুনিকয়ান করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য আসাম রাজ্যের এমএলএ দিলিপ কুমার পাল, আমিনুল হক লস্কর, জয়রাম এংলেং, দীপক কুমার রাভা, সুমান হারিপ্রিয়া, মৃণাল সাইকিয়া, কুশাল দোয়ারি, দেবানন্দ হাজারিকা ও রানোজ পেগু, আসাম সরকারের কর্মকর্তা অবিনাশ পুরুষত্তম, এস.এস. মীনাক্ষি সুন্দারাম, এম.এস. মানিভান্নান, উমানন্দ ডলে, রুবি শর্মা, ধ্রুবজ্যোতি দাস, নাজরিন আহমেদ, দেবা কুমার মিশ্রা, রণজিৎ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নবনীতা চক্রবর্তী, বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম পিএসসি, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়, সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ, সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, প্রাক্তন সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ আলম, জিয়াউল হক, প্রাক্তন পরিচালক কলন্দর আলী, মো. সাহিদুর রহমান সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:৪৪ ২১৭ বার পঠিত