
আজ (মঙ্গলবার) ০২ জুলাই’২০১৯
নবাব সিরাজউদদৌলাকে হত্যা
১৭৫৭ সালের এ দিনে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদদৌলাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তার প্রকৃত নাম মীর্জা মুহম্মদ। বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যার নব আলীবর্দী খাঁ’র নাতি তিনি। আলীবদীর কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি সিরাজকেই নবাব মনোনীত করে যান। সিরাজের জন্ম ১৭৩৩ সালে। ১৭৪৮ সালে তার পিতা পাটনার নবাব যইনুদ্দীন আফগান বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন। নানা আলীবদীর মৃত্যুর পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল মনসুরুলমূলক সিরাজউদদৌলা শাহ কুলী খান মীর্জা মুহম্মদ হায়বৎ জঙ্গ বাহাদুর নাম ধারণ করে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে আরোহন করেন। ঢাকার ভূতপূর্ব শাসনকর্তার বিধবা পতœী আলীবদীর অন্যতম কন্যা ঘসেটি বেগম এবং পূর্ণিয়ার শাসনকর্তা আলীবর্দীর অন্যতম দৌহিত্র শওকতজঙ্গ সিরাজের সিংহাসনে আরোহনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। একদিকে এই পারিবারিক ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং ইংরেজদের চক্রান্ত- সবমিলিয়ে রাজনৈতিকভাবে নাস্তানাবুদ হতে থাকেন সিরাজ। ইংরেজদের সঙ্গে তার ছোটখাটো ক’টি যুদ্ধও হয়। তার আমাত্য মীরজাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, উমিচাঁদ, ইয়ার লতিফ, মানিক চাঁদ প্রমুখ ইংরেজদের সঙ্গে মিলে নবাব সিরাজউদদৌলার সিংহাসন টলটলায়মান করে দেন। সর্বশেষ ১৭৫৭’র ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে এরা ইংরেজদের জিতিয়ে দেন। ধরা পড়েন। ২ জুলাই মুর্শিদাবাদে মীর জাফরের ছেলে মিরনের নির্দেশে হাম্মদী বেগ তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। সিরাজের পতন ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের সূত্রপাত শুরু।
মোহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় (৭১২)
জার্মানির রাজা হেনরি দ্য ফাউলারের মৃত্যু (৯৩৬)
মন্টিনেন্টাল কংগ্রেস কর্তৃক আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা (১৭৭৬)
মহিশুরের হায়দার আলী ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত (১৭৮১)
আফ্রিকায় ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ব্রাসেলস চুক্তি পাস (১৮৯০)
আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম মহিলা বৈমানিক আমেলিয়া ইয়ারহাট রহস্যজনকভাবে বিমানসহ নিখোঁজ (১৯৩৭)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৭২)
২০ বছরেরও অধিককাল যুদ্ধের পর উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত (১৯৭৬)
মক্কার মিনায় সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনায় ১৪১৬ হাজীর মৃত্যু (১৯৯০)
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৮:৪৬ ১৩৫ বার পঠিত