
গণরোষেই বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন হয়েছে’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একবার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, একবার সরকার পতনের জন্য গণআন্দোলন তৈরি করবে -এরকম বহু কথা আমরা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা শুনে আসছি, যা অন্ত:সারশূণ্য হুমকি ধামকি হিসেবে প্রমাণিত। তারা হরতাল-অবরোধের নামে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, নির্বাচন বন্ধ করার অর্থাৎ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের এসকল জনবিরোধী অপতৎপরতার কারণে গণরোষে ইতোমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন হয়েছে।’
‘বরং আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো জনগণকে আস্থায় আনার চেষ্টা করতে’, বলেন মন্ত্রী।
‘দেশে অশান্তি বিরাজ করছে’- বিএনপি’র এমন মন্তব্যের জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে যে শান্তি-স্থিতি বিরাজ করছে, এটি পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকার করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলংকা গিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হচ্ছে, তার অনন্য উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ।’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে, শান্তিতে আছে, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু আয় শুধু না, ক্রয়ক্ষমতাও আড়াইগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমগ্র বিশ্ব যা বলছে, সেটির বিপরীতে যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম কথা বলেন, তখন তা হাস্যকর হয়ে যায়।’
প্রিয়া সাহার বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত হবে
এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগকারী প্রিয়া সাহা’র বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য অবশ্যই দেশের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিরাজ করছে, তা আজকে পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত। সেই প্রেক্ষাপটে এ ধরণের বক্তব্য অবান্তর। তার এ বক্তব্যের সাথে বাংলাদেশের সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দ্বিমত পোষণ করেছেন, এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি কিভাবে তাদের প্রতিনিধি হলেন- সেটি অবশ্যই তদন্তের বিষয়। এবিষয়ে কি করা হবে সেটি অন্য প্রসঙ্গ, কিন্তু সে বক্তব্য দেশের শান্তি-স্থিতি বিনষ্ট করছে কি না সেটি দেখার বিষয় ? নিশ্চয়ই এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে।’
এবিষয়ে প্রিয়া সাহার স্বামীর প্ররোচনা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আইন বলে, স্বামীর অপরাধে স্ত্রী অপরাধী নয়, স্ত্রীর অপরাধে স্বামী অপরাধী নয়। কিন্তু এ বক্তব্যের সাথে স্বামীর কোনো প্ররোচনা আছে কি না, সেটি অবশ্যই তদন্তের বিষয় হতে পারে।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার
পরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। দপ্তরপ্রধান হিসেবে ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো: নিজামুল কবীর, কর্মকর্তাদের মধ্যে উপ-সচিব নাসরিন পারভীন ও কর্মচারিদের মধ্যে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো: জাকির হোসেন এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও দপ্তরপ্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:০৯ ১৩৪ বার পঠিত