গত সাত দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আগুনে পোড়া ১৫ জন রোগী মারা গেছেন। আরও দশজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুধু আগুনে দগ্ধ হয়ে নয় শীতে এ পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত রোগে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিদিনই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হচ্ছে পাঁচজন দগ্ধ রোগী। এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮০ জন। এখনো ভর্তি রয়েছে ৫১ নারী শিশু ও বৃদ্ধ।
হাসপাতালে নিহতরা হলেন, রংপুর সদরের জলকর এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা বেগম, নীলফামারী জেলার সোনারাম কাচারি এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা, রংপুর সদরের আব্দুল গনির স্ত্রী মনি বেগম, ঠাকুরগাঁও জেলার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আঁখি, রংপুর সদরের শিশু খোরশেদ, রংপুরের পাকারমাথা এলাকার আনসার আলীর স্ত্রী সনি বেগম, তারাগঞ্জের জামিরণ বেওয়া, লালমনিরহাট জেলার পাঠগ্রাম উপজেলার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, সদর এলাকার সামছুল আলমের স্ত্রী শাম্মি আখতার ও সুখি মনি, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর এলাকার সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা, জলডাকার ফয়জুল ও খায়রুন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে নতুন নতুন রোগী আসছেন। জায়গা সংকুলন হচ্ছে না। আমরা আমাদের তত্ত্বাবধানে রেখে অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিচ্ছি।
চিকিৎসক বলেন, কোনো ব্যক্তির ৪০ ভাগ পুড়ে গেলে তাকে বাঁচানো মুশকিল। কেউ দগ্ধ হলে আক্রান্ত স্থানে ডিম বা অন্যকিছু না দিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ঢালতে হবে ঠান্ডা পানি। কেউ আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত না হয়ে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। শীতে দরিদ্রদের চাহিদা মেটাতে আরো শীতবস্ত্র চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৭:৫২ ৪৫৭ বার পঠিত