
টানা দুই ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হারের পরও সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। তবে সেই আশায় গুঁড়েবালি। ব্যাটসম্যান-বোলারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় ফের হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের।
দ্বিতীয় ম্যাচেও বিবর্ণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেননি সফরকারীরা। দিনশেষে তাই পরিণতি ৭ উইকেটের বড় পরাজয়। সঙ্গী এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচ সিরিজ ২-০তে হারের তিক্ত স্বাদ।
শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ হারের পর ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগকেই দুষেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভারের মধ্যে তামিম, সৌম্য ও মিঠুনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। স্বভাবতই ছন্দপতন ঘটে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সপ্তম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে মুশফিক ৮৪ রানের জুটি না গড়লে ২০০ রানও হয়তো পার হতো না তাদের।
শুরুর দিকে একের পর এক উইকেট হারানোকেই হারের অন্যতম কারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মুশফিক। তিনি বলেন, দুই ওয়ানডেতেই প্রথম ১০ ওভারে আমরা ব্যাটিং-বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম। এ উইকেটে প্রথম ১০ ওভারে ৭০ বা ৬৯ রান করেছেন লংকানরা। আরেকটু ঝুঁকি নিয়ে খেললে হয়তো আরও একটি, দুটি উইকেট পড়ত তাদের। তবে সেটি হয়নি। অন্যদিকে এ ১০-১৫ ওভারের মধ্যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। সেখান থেকে কামব্যাক করা কঠিন ছিল। আমি মনে করি, এখানেই জয়-পরাজয়ের পার্থক্য গড়ে উঠেছে। প্রথম ১০-১৫ ওভারে ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনোটিতেই আমরা ভালো করতে পারিনি।
ফের শেষ দিকে একজন আদর্শ পাওয়ার হিটারের অভাব উপলব্ধি করেছে বাংলাদেশ। টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হওয়ার পর হাল ধরার মতো তেমন কেউ ছিল না। মিস্টার ডিপেন্ডেবল বলেন, আমাদের তেমন কোনো পাওয়ার হিটার নেই, যে শেষের ১০ ওভারে ১০০ রান নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাভার করবে, সামাল দেবে। ফলে মাঠের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের সাধারণত মিডলঅর্ডারে নির্ভর করতে হয়। সেটি না হওয়াতেই ব্যর্থতা আসছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দারুণ ব্যাটিং করেন মুশফিক। ব্যাট হাতে তামিম, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা মুখ থুবড়ে পড়লেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৬৭ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৮ রানের অপরাজিত লড়াকু ইনিংস খেলেন নির্ভরতার প্রতীক। সতীর্থদের আশা-যাওয়ার মিছিলে মাঝে শক্ত হাতে হাল ধরে দলকে ২৩৮ রানের মাঝারি পুঁজি এনে দেন মুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৯:২১ ১৫৩ বার পঠিত