আজ (মঙ্গলবার) ৩০ জুলাই’২০১৯

১৬০২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় হল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রভাব ও উপনিবেশিক তৎপরতা শুরু হয়। এর আগে ইন্দোনেশিয়া পর্তুগালের অধিনে ছিল। ১৭ শতাব্দীর প্রথমার্ধে হল্যান্ড একের পর এক ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন দ্বীপ দখল করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত পুরো ইন্দোনেশিয়া গ্রাস করে। সে সময় হল্যান্ড ছিল তৃতীয় বৃহত্তম উপনিবেশিক শক্তি। হল্যান্ড ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়ার কয়েক শতাব্দী পর ১৯৫০ সালে আহমাদ সুকর্ণ এর নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।

১৯৮০ সালের এই দিনে পূর্ব অষ্ট্রেলিয়ার দ্বীপ দেশ ভানুয়াটো স্বাধীনতা লাভ করে। ১৭শ’ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই দ্বীপটি স্পেনের দখলে আসে এবং ১৮শ’ শতাব্দীর শেষের দিকে ফরাসী ও বৃটিশ উপনিবেশবাদীরা দ্বীপটির উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ১৮৮৭ সাল থেকে ঐ দ্বীপে অভিবাসি বৃটিশ ও ফরাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ১৯০৬ সালে ঐ দ্বীপ পরিচালনার ব্যাপারে লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মিত্র পক্ষ জাপানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য ভানুয়াটো দ্বীপে অবস্থান গ্রহন করে। এ কারণে ঐ দ্বীপের জনগণ ফরাসী ও বৃটিশ উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। এই সংগ্রাম ১৯৭০ এর দশকে জোরদার হয় ১৯৮০ সালে দ্বীপটির জনগণ স্বাধীনতা অর্জন করে।

হিজরতের ১৩ বছর আগে এই দিনে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওত লাভ করেন। তিনি যখন নবুওত লাভ করেন তখন আরব ভূখন্ডে কোন শান্তি ছিল না। চারিদিক থেকে শুধু অস্থিরতা, অশান্তি, কলহ, ঝগড়া ফ্যাসাদ এবং নির্যাতিত মানুষের ক্রন্দনধ্বনি ভেসে আসতো। একদল মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে অপর একদল মানুষ তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো। ক্রীতদাসদের চোখে মুখে সারাক্ষণ মৃত্যুর আতংক লেগে থাকতো এবং শরীরে থাকতো মনিবের চাবুকের চিহ্ণ। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হত। ঠিক এমনি এক সময়ে বিশ্ব মানবতাকে মুক্তি দিতে পৃথিবীতে এলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)। হেরা পর্বতের গুহায় তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হলেন মানুষকে অংশীবাদ, অজ্ঞতা ও ধ্বংস থেকে রক্ষা করে তাকে একত্ববাদ, ন্যায়বিচার ও আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিতে। রাসূলুল্লাহ (সা:) এর নবুওয়াত প্রাপ্তি মানবতার ইতিহাসে ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী ঘটনা। মহান আল্লাহ পাক এ ঘটনাকে মানুষের প্রতি তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ বলে বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা আলে ইমরানের ১৬৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “আল্লাহ ঈমানদারদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে সকল অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে আল্লাহ’র কিতাব ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দেন। বস্তুত: তারা পূর্ব থেকেই ছিল স্পষ্ট পথভ্রষ্ট।”

হিজরী ১২২৮ সালের এই দিনে ইরাকের খ্যাতনামা আলেম আল্লামা শেইখ কাশেফুল গেতা পরলোক গমন করেন। তিনি ইসলামী আইন শাস্ত্র, পবিত্র কোরন শরীফ ও হাদিসের ব্যাখ্যা শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইজতিহাদের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁর যুগে তিনি বড় আলেম হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন এবং অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্র গড়ে তোলেন। তিনি নিজের নামে অর্থাৎ কাশেফুল গেতা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া আল আকায়েদুল জাফারিয়াও তার আরেকটি মূল্যবান গ্রন্থ।

পাঠক ! ইতিহাসের এই দিনে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে রয়েছে,

৬৩৪ হিজরীতে মুসলিম শক্তির নিকট রোমান বাহিনী পরাজিত হয়।
১৯৪৮ সালে লিভারপুরে পৃথিবীর প্রথম বন্দর রাডার ষ্ট্রেশন চালু হয় এবং
১৯৯৮ সালে জাপানে কাইজো ওবুচি নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

মুসলমানদের কাছে রোম বাহিনীর পরাজয় (৬৩৪)
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার ইন্তেকাল (৭৭০)
পোলিশদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ওয়ারশ যুদ্ধের অবসান (১৬৫৬)
সাহিত্যিক-শিক্ষাবিদ কাজী মোতাহের হোসেনের জন্ম (১৮৯৭)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু (১৯১৪)
লিভারপুলে পৃথিবীর প্রথম রাডার স্টেশন চালু (১৯৪৮)
মার্কিন নভোখেয়া মেরিনার- ৬ এর মাধ্যমে মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে টিভি ছবি প্রেরণ (১৯৬৯)
ভানুয়াট প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা লাভ (১৯৮০)
ঢাকার মিরপুরে গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ২৩ জনের মৃত্যু (১৯৯৭)
কাইজো ওবুচি জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত (১৯৯৮)

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:৫৫   ১২৬ বার পঠিত