
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল কোরআন
২২৯. তালাক দুইবার; অতঃপর (স্ত্রীকে) হয় বিহিতভাবে রাখতে হবে অথবা সৎভাবে পরিত্যাগ করতে হবে; তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে যা প্রদান কর তা হতে কোন কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। তবে তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, আল্লাহর নির্দেশ ঠিক রাখতে পারবে না, সে অবস্থায় স্ত্রী নিজের মুক্তি লাভের জন্য কিছু বিনিময় দিলে তাতে উভয়ের কোন দোষ নেই; এগুলি হচ্ছে আল্লাহর সীমাসমূহ। অতএব, তা অতিক্রম কর না এবং যারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করে বস্তুত তারাই অত্যাচারী।১১২
আল হাদিস
১৩০। সাহ্ল ইবনে স‘াদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্য থেকে সত্তর হাজার কিংবা সাত লাখ লোক একে অপরের হাত ধরাধরি করা অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের মধ্যকার সর্বশেষ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত প্রথম ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে। (বুখারী-কিতাবুর রিকাক)
১৩১। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) একদিন আমাদের কাছে এসে বললেন, যত নবী দুনিয়ায় এসেছেন, তাদের উম্মতগণকে আমার সামনে হাজির করা হয়েছিল। আমি দেখলাম, একজন নবী হেঁটে যাচ্ছেন এবং তাঁর সাথে মাত্র একজন লোক। আরেকজন নবীকে দেখলাম, তাঁর সাথে মাত্র দুজন লোক। অন্য একজন নবীর সাথে ছিল একদল লোক। এক নবীর সাথে একজন লোকও ছিল না। আবার এক বিরাট জামাত দেখলাম, যা দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত ছিল। আমি আকাংক্ষা ব্যক্ত করলাম, এ জামাতটি যদি আমার উম্মত হতো! বলা হলো, এটি মূসা (আ) ও তাঁর সম্প্রদায়। আমাকে বলা হলো, আপনি লক্ষ্য করে দেখুন। তৎপর আমি এক বিশাল সমাবেশ দেখলাম, যা দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এরপর আমাকে এদিকে-ওদিকে তাকাতে বলা হলো। আমি আরো বিশাল-বিশাল জামাত দেখতে পেলাম, যা দিগন্ত জুড়ে বিস্তৃত ছিল। এবার আমাকে বলা হলো, এরা হলো আপনার উম্মত। তাদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক রয়েছে, যারা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেশতে চলে যাবে। এরপর লোকজন এদিক-সেদিক চলে গেলো। কিন্তু তিনি সত্তর হাজার সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি। নবী (সা)-এর সাহাবীগণ এ সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনা করতে লাগলেন। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন যে, আমরা তো র্শিক এর যামানায় জন্মগ্রহণ করেছি এবং এরপর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি। মনে হয় ওরা হবে আমাদের সন্তানদের মধ্য থেকেই। অতঃপর এ সংবাদ নবী (সা)-এর কানে পৌঁছুলে তিনি বললেন, তারা হবে সেই সব লোক যারা মংগল অমংগলের চিহ্ন মানে না। ঝাড়ফুঁক করতো না এবং জ্বলন্ত লৌহ শলাকা দ্বারা শরীরে দাগ লাগায় না। সদা সর্বদা তারা পরওয়ারদেগারের উপর নির্ভর করে। এসময় উক্কাশা ইবনে মিহজান উঠে দাঁড়িয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাদের অন্তর্ভুক্ত হবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এই সময় আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও কি তাদের মধ্যে থাকবো? তিনি বললেন, এ বিষয়ে উক্কাশা তোমার আগে চলে গেছে। (বুখারী-কিতাবুত ত্বিব)
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৬:৩৮ ১৩৪ বার পঠিত