
ঢাকা, ২২ শ্রাবণ (৬ আগস্ট): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষার প্রমিত মান নিয়ে কোনো আপস নয়। কোনো অবস্থাতেই ডোমেইনে নাম লেখার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বিসর্জন দেওয়া যাবে না। তিনি বাংলা ডোমেইনের নামে বিদ্যমান জটিলতা নিরসনে আন্তর্জাতিক ডোমেইন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইক্যান এর পূর্ণ সহযোগিতা আদায়ে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বাংলা ভাষায় ডোমেইনে বাংলা নাম লিখার বিষয়ে আইক্যান বিষয়ক গভর্নমেন্টাল এডভাইজারি কমিটির আইক্যান প্রস্তাব পর্যালোচনা সংক্রান্ত বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুল করিম মজুমদার, বিসিসি পরিচালক মোঃ এনামুল কবির এবং বাংলা ভাষা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা বুকের রক্ত দিয়েছি। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখছে। ফলে প্রযু্িক্তগত ক্ষেত্রে অক্ষর ব্যবহারে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষাকে দেবনাগরীর মতো করে দেখা হয়েছে। বাংলাদেশের ভাষাবজ্ঞিানী-সহ সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বিবেচনায় রাখা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, বাংলা ভাষায় যখন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হয়, তখন বাংলাদেশ থেকে কোনো মতামত না নেওয়ায় বাংলা ইউনিকোডে ত্রুটি রয়ে গেছে। বাংলা ভাষায় অস্তিত্বহীন অনেক অক্ষর ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আবার বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন অক্ষরকে প্রথমে বাদ ও পরে বিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১০ সাল থেকে সরকার ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম সদস্য। সরকার ডোমেইন সংস্থা আইক্যান এরও সদস্য। উভয় ক্ষেত্রেই বাংলা ভাষা বিষয়ক জটিলতা বিরাজ করছে যা নিরসনে তিনি নিজে এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দু‘টি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৬:০২ ১৪৯ বার পঠিত