আজ (বুধবার) ০৭ আগস্ট’২০১৯
কবি রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু দিন
৭ আগষ্ট নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিন। ১৯৪১ সালের এ দিনে তিনি কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা……….. ’র রচয়িতা। তার প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৬১ সালের ৭ মে কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি কবি প্রতিভার পরিচয় দেন । বিদ্যা শিক্ষার জন্য স্কুলে পাঠানো হলেও শিক্ষা জীবন তিনি সম্পন্ন করেননি। তার পিতামহ ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর । পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মা সারদা দেবী । তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের ১৪তম সন্তান। পনেরো বছর বয়সে তিনি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন। শুধু কবিতা নয়-সঙ্গীত, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ নাটক, রস রচনা-বাংলা সাহিত্যের এমন কোনে দিক নেই যা রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার স্পর্শে সজীব হয়ে ওঠেনি। শেষ জীবনে ছবি একে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভের পর ধর্ম,সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ এবং সাহিত্যে সমলোচনায় অভিনব ধারার সৃষ্টি করেন ।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বমানবতায় বিশ্বাসী ছিলেন। প্রকৃতির প্রতিও ছিলো তার গভীর ভালোবাসা। আধুনিক কালের প্রায় সকল কবি-সাহিত্যিকই রবীন্দ্র প্রতিভার দ্বারা কমবেশি প্রভাবিত হন। সূর্যালোকের মতো ছিলো তার প্রতিভা। যুগে যুগে যে সকল মহামানব পৃথিবীতে সংশয়ের মেঘের মধ্যে সত্যের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ তাদের অন্যতম। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ কারণে বাংলা সাহিত্যে তাকে বলা হয় কবিগুরু। ‘সোনারতরী’, ‘পূরবী’, ‘বলাকা তার উল্লেখযোগ্য কাব্য। গোরা’, ‘ঘরে বাইরে প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ডাকঘর, রক্ত করবী, তাসের দেশ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য নাটক। কালান্তর’, ‘শিক্ষা প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ। ‘ ছেলেবেলা’, ‘জীবন স্মৃতি তার আত্মজীবনী। রবীন্দ্রনাথের গানের সংকলনের নাম গীতবিতান।
(সুফী মোতাহার হোসেনের মৃত্যু)
বাংলা কবিতায় সনেট ধারা চর্চাকার অন্যতম কবি সুফী মোতাহার হোসেনের আজ মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এ দিনে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার কবি প্রতিভার পুরো এক যুগই কেটেছে অসুস্থতায় । এ সময় তিনি কোনো লেখালেখি করতে পারেননি। সুফী মোতাহার হোসেনের জন্ম ১৯০৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের ভবানন্দপুর গ্রামে। ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩১ সালে বিএ পাস করেন। কর্মজীবনে জজকোর্টে কিছুদিন চাকরি করেছেন। দু’বছর চাকরির পর নিউরেস্থিনিয়া ও ডিসপেপশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে একযুগ শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকেন। রোগ মুক্তির পর শিক্ষকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। ফরিদপুর ঈশান ইন্সটিটিউশনে শিক্ষকতা করেছেন ২০ বছর। কাজী নজরুল ইসলাম ও মোহিতলাল মজুমদারের সাহচর্যে কাব্যচর্চায় তিনি প্রেরণা লাভ করেন। সনেটে তার কবি প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। প্রেম, প্রকৃতি ও মানবতা ধ্বনিত হয়েছে তার সনেটে। তার কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে সনেট সংকলন, সনেট সঞ্চয়ন, সনেটমালা উল্লেখযোগ্য। মৃত্যুর আগের বছর ১৯৭৪-এ বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন। তার পূর্বে পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার ও প্রেসিডেন্ট পুরস্কার।
(মাহবুব-উল-আলমের মৃত্যু)
সাংবাদিক, সাহিত্যিক মাহবুব-উল-আলমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সাহিত্য কর্মের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড অব পারফরম্যান্স’ এবং ‘একুশে পদক’ বিজয়ী মাহবুব-উল-আলম ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কথাসাহিত্য, স্মৃতিকথা এবং ইতিহাস রচয়িতা হিসেবে খ্যাতিমান তিনি। বাংলা গদ্য রীতিতে সাবলীল-বলিষ্ঠ একটি ব্যতিক্রমী ধারা এনেছেন তিনি। তার প্রথম রচনা পল্টন জীবনের স্মৃতিতে সৃষ্টিশীল মনের পরিচয় ফুটে উঠেছে। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘মোমেনের জবানবন্দী’তে ফুটে উঠেছে সমাজ ও বাস্তব জীবনের নিখুঁত চিত্র। তাজিয়া, পঞ্চ অন্ন তার বিখ্যাত গল্প সংকলন। গোফসন্দেশ’ ব্যঙ্গ রচনা। চট্টগ্রামের ইতিহাস (তিন খ-ে), বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত (চার খ-ে) তার ইতিহাসমূলক গ্রন্থ।
মাহবুব-উল-আলমের জন্ম ১৮৯৮ সালের ১ মে চট্টগ্রামে। ১৯১৬ সালে ফতেয়াবাদ এমই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাসের পর কিছুদিন চট্টগ্রাম কলেজে আইএ ক্লাসে অধ্যয়ন করেন। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে সেসোপটেমিয়া গিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ শেষে বাঙালি পল্টন ভেঙে গেলে ১৯১৯ সালে দেশে ফিরেন। যোগ দেন সাব-রেজিস্ট্রার পদে। ১৯৫৪ তে অবসর নেন ইন্সপেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন পদ থেকে। এরপর তার সম্পাদনায় চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক জামানা পত্রিকা। পরে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন পেয়ে বার্মা, সিলন, ইন্দোনেশিয়া, তুর্কি, সৌদিআরব, পর্ব পাকিস্তানের পক্ষি, পূর্ব পাকিস্তানের বনক্ষেত্র ইত্যাদি পুস্তিকা রচনা করেন।
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খ্যাতনামা রুশ লেখক ও থিয়েটার পরিচালক কনস্ট্যান্টিন স্টেনলেভোস্কি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৮৮৮ সালে আরো দুই জন শিল্পীর সহযোগিতায় তিনি সাহিত্য কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন। থিয়েটার পরিচালনা ও অভিনয় জগতে নতুন ধারা সৃষ্টির জন্য কনস্ট্যান্টিন স্টেনলেভোস্কি খ্যাতি লাভ করেন।
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আফ্রিকার দেশ আইভোরিকোস্ট ফরাসী উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৬শ’ শতাব্দিতে পর্তুগিজরা আইভোরিকোস্টে প্রথম উপনিবেশ স্থাপন করে। এরপর ১৮৯১ সালে সেখানকার জনগণের ব্যাপক আন্দোলন ও বিরোধীতা সত্ত্বেও ফরাসীরা আইভোরিকোস্টে উপনিবেশ স্থাপন করে। শেষ পর্যন্ত ১৯৬০ সালে আইভোরিকোস্টসহ ফ্রান্সের দখলে থাকা আফ্রিকার উপনিবেশ কবলিত আরো কয়েকটি দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে পি.এল.ও. বাহিনী সরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, লেবানন ও পি.এল.ওর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। লেবাননে অবস্থিত সংগ্রামী ফিলিস্তিনীদেরকে বিতাড়িত অথবা নির্মূল করার জন্য ১৯৮২ সালের জুনে মাসে ইসরাইল ব্যাপক হামলা চালানোর পর ঐ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ঐ হামলায় ইসরাইল অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে এবং লেবানন ও ফিলিস্তিনী সংগ্রামীরা ৮০ দিন পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যায়। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত ইয়াসির আরাফাত বৈরুত থেকে ১২ হাজার সংগ্রামী ফিলিস্তিনীকে সরিয়ে আনে এবং তাদেরকে আটটি আরব দেশে স্থানান্তর করে। বৈরুত থেকে পি.এল.ওর বাহিনী প্রত্যাহার ছিল পি.এল.ওর জন্য বড় আঘাত এবং এর ফলে তারা তেলআবিবের কাছে নতি স্বীকার করলো। তবে পরবর্তীতে লেবাননে ইসলামী প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং ইসরাইল ২০০০ সালে লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
ফার্সী ১৩৭১ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা আলেম ও মারজায়ে তাকলিদ আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ আবুল কাসেম মুসাভি খুই ৯৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি উত্তর পশ্চিম ইরানের খুই শহরে জন্ম গ্রহণ করেন এবং যুবক বয়সে তার পিতা আরো জ্ঞানার্জনের জন্য তাকে ইরাকের নাজাফ শহরে পাঠায়। সেখানে তিনি যুক্তিবিদ্যা, বর্ণনা রীতি বা কৌশল, ধর্মীয় মৌল নীতি, ফেকাহ ও দর্শন বিষয়ে গভীর জ্ঞানার্জন করেন এবং যুবক বয়সেই ইজতিহাদ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। সাইয়্যেদ আবুল কাসেম মুসাভি খুই ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভূমিকা রাখেন এবং বায়তুল মোকাদ্দাস স্বাধীন ও ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জারি করেছিলেন।
হিজরী ৩৮ সালের এই দিনে হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর বংশের অন্যতম মর্যাদাবান ব্যক্তি আলী বিন হোসেইন (আ:) মদিনা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি এত বেশী এবাদত বন্দেগী ও দীর্ঘ সেজদা করতেন যে তাঁকে সাজ্জাদ নামে অভিহিত করা হতো। এজন্য তিনি ইমাম সাজ্জাদ নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। অসুস্থতার কারণে তিনি কারবালা যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি। কারবালার ঘটনার পর ইমাম সাজ্জাদ (আ:) উমাইয়া বংশের কুকির্তী ও নবী পরিবারের সাথে তাদের নৃশংস আচরণের কাহিনী এবং নবী পরিবারের মর্যাদার কথা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে জনগণের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ৯৪ বছর বয়স পর্যন্ত মুসলিম উম্মার হেদায়েতের দায়িত্ব পালন করেন। সহিফায়ে সাজ্জাদিয়ে তার অন্যতম একটি মূল্যবান দোয়ার গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি খোদার সাথে বান্দার সম্পর্ক, পরকাল এবং অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা তুলে ধরেছেন যা আজও মানুষকে সত্যের পথে চালিত করে।
হিজরী ৩১৩ সালের এই দিনে বিশ্বখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক, রসায়নবিদ ও এ্যালকোহলের আবিস্কারক মোহাম্মদ বিন যাকারিয়া রাযি পরলোক গমন করেন। তিনি হিজরী ২৫১ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে রেই শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে স্বর্ণ ও রৌপ্যকারের পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং পরে রসায়ন শাস্ত্রে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রসায়ন সংক্রান্ত জটিল বিষয় ছাড়াও চিকিৎসা, জ্যামিতি, যুক্তিবিদ্যা ও দর্শনেও তিনি পান্ডিত্য অর্জন করেছিলেন। তার জীবনের বহু বছর পদার্থের বিভাজন ও মিশ্রনের উপর গবেষণা চালান এবং সালফারিক এসিড আবিস্কারে সক্ষম হন। ইরানের এই মুসলিম বিজ্ঞানীই ছিলেন বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি এ্যালকোহল আবিস্কার করেন। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় ২৫০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
বাংলা অভিধানের প্রণেতা পিটস হেররি ফরস্টারের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী হয়ে কলকাতায় পদার্পণ (১৭৮৩)
সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর জন্ম (১৮৬৮)
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত (১৯০৫)
কলকাতার পার্শি বাগানে প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন (১৯০৬)
ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠা (১৯১৩)
ব্রিটেনে ১ ডলার ও ১০ শিলিংয়ের নোট চালু (১৯১৪)
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান (১৯৪০)
কলম্বিয়ার ক্যালিতে ডিনামাইটবাহী ট্রাক বহরে বিস্ফোরণ। ১১০০ লোকের মৃত্যু (১৯৫৬)
আইভরি কোস্টের স্বাধীনতা অর্জন (১৯৬০)
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৭৩)
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৩:৫৬ ১৮৮ বার পঠিত