শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের গলাচিপা এলাকার গোয়ালিয়া খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৭.৬৫ বোরের একটি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আহত হয়েছেন। শাহিনের বাড়ি শহরের গলাটিপা মাসদাইর এলাকায়, তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথেও জড়িত ছিলেন।
২০১১ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতা পরিচয়ে তিনি ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন করেছিলেন। নিজ বাড়ির সামনে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ছবিও সাটাতেন ।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.শরফুদ্দীন বন্দুক যুদ্ধ ও শাহীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্দুক শাহীনের বিরুদ্ধে মাদক, হত্যা ও সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেফতার বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই সময়ও পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে বন্দুক শাহিন শহরের গলাচিপার বোয়ালিয়া খাল এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টিম শুক্রবার ভোর রাতে বন্দুক শাহিনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়।
এসময় বন্দুক শাহিন ডিবি পুলিশের উপস্থিতে টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে শাহিন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহিনের লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, দুর্দান্ত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে বন্দুক শাহীনের একসময় সুখ্যাতি থাকলেও পরবর্তীতে সে স্থানীয় স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ অপরাধ জগতে ৯০ দশকের পর জড়িয়ে পড়ে। এক সময় কাটা রাইফেলসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে তার নাম হয়ে যায় বন্দুক শাহীন।
শাহীনের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে তার দুই ছোট ভাই মামুন ওরফে বাবা মামুন, মাসুম ও ইভান ওরফে বাবা ইভানসহ খাজা রনি।
বন্দুক শাহীন ২০০৪ সালের আলোচিত হত্যাকান্ড ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার খুনের মামলারও আসামি ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৯:৫৯ ৫২৯ বার পঠিত