
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল কোরআন
সূরা আরাফ
মক্কায় অবতীর্ণ। আয়াত : ২০৬; রুক‚ : ২৪
৮২. তার জাতির লোকদের এটা ছাড়া আর কোন জবাবই ছিল না যে, ‘এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও, এরা নিজেদেরকে বড় পবিত্র রাখতে চায়।
৮৩. পরিশেষে, আমি তাকে এবং তার পরিবারের লোকদেরকে, তার স্ত্রী ছাড়া, শাস্তি হতে রক্ষা করেছিলাম, তার স্ত্রী তাদের পিছনেই রয়ে গিয়েছিল।
৮৪. অতঃপর আমি তাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম, অতঃপর লক্ষ্য কর, অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল।
আল হাদিস
৫৬ নং পরিচ্ছেদ
মি’রাজের রাতে রাসূলুল্লাহ (সা) আল্লাহ তা‘আলাকে দেখেছিলেন কি
১১১। মাসরুক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মাজান, মুহাম্মদ (সা) কি তার রবকে মি’রাজের সময় দেখেছেন? জবাবে তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের লোম কাটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা কি তোমার জানা নেই? সেই তিনটি বিষয়ের কোন একটি সম্পর্কে যদি কেউ তোমাকে কিছু বলে, তবে সে মিথ্যা বলবে। সেই তিনটি কথা হলো, যদি কোন ব্যক্তি তোমার কাছে একথা বলে যে, মুহাম্মদ (সা) মেরাজের রাতে তাঁর প্রভুকে দেখেছেন, তবে সে মিথ্যা বলেছে। অতঃপর তাঁর এ কথার সমর্থনে তিনি আল কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন:-
বাহ্যিক দৃষ্টিশক্তি তাঁকে দেখতে পারে না বরং তিনিই সব চোখকে দেখেন এবং তিনি খুবই সূ²দর্শী ও সব বিষয়ে অবহিত।
অন্য আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে;
মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয় যে, ওহী অথবা পর্দার অন্তরাল ছাড়া আল্লাহর সাথে সরাসরি কথা বলে। আর যে লোক একথা বলে যে আগামীকাল কি হবে অথবা হবে না সে সম্পর্কে তিনি (মুহাম্মদ স:) জানেন, তবে সে মিথ্যা কথা বলছে। এ কথার সমর্থনে তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করে শোনালেন
অর্থাৎÑকোন মানুষই জানে না যে, সে আগামীকাল কি অর্জন করবে। আর যে ব্যক্তি তোমার নিকট এ কথা বলে যে, মুহাম্মদ (সা) কোন কোন কথা উম্মতের নিকট না বলে গোপন করেছেন, তবে সেও মিথ্যা বলেছে। এ কথার দলিল হিসেবে তিনি কুরআন পাকের নিম্নোক্ত আয়াত পেশ করেন:-
হে রাসূল! আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে যা নাযিল হয়েছে, তা পৌঁছে দিন। আয়েশা (রা) বলেন, রাসূল (সা) প্রকৃতপক্ষে জিব্রাঈল (আ)-কে দুবার তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছেন। (বুখারী-কিতাবুল তাফসীর)
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৩:১০ ১৬৫ বার পঠিত