
আজ (বুধবার) ২৫ সেপ্টেম্বর’২০১৯
১২৯৪ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে প্রখ্যাত বৃটিশ দার্শনিক ও রসায়নবিদ রজার বেকান মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১২১৪ খ্রীস্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন। রজার বেকান হিব্রু, গ্রীক ও আরবী ভাষার উপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেন। প্রকৃতি বিজ্ঞানের প্রতি তার বিশেষ ঝোক ছিল। তিনি দর্শন ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন।
ফার্সী ১৩৬১ সালের এই দিনে ইরানের খ্যাতনামা শিল্পী ও ক্যালিওগ্রাফার রেজা মাফি পরলোক গমন করেন। তিনি ইরানের মাশহাদ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। ক্যালিওগ্রাফীর প্রতি তার বিশেষ ঝোক ছিল এবং এ ব্যাপারে তিনি তার শিক্ষক এতেসামির কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করেন। পরবর্তীতে রেজা মাফি ক্যালিওগ্রাফি ইনস্টিটিউটে অন্যান্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ক্যালিওগ্রাফি চর্চা অব্যাহত রাখেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ক্যালিওগ্রাফি শিল্পী যিনি নাস্তালিক পদ্ধতিতে চমৎকার ক্যালিওগ্রাফী একে প্রদর্শনির জন্য উপস্থাপন করেন। তিনি ৮০০ এরও বেশী ক্যালিওগ্রাফি আকেন।
১৯৯৭ সালের এই দিনে ইহুদীবাদী ইসরাইলী গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ ফিলিস্তিনের সংগ্রামী নেতা খালেদ মাশালকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। ইসরাইলী গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ জর্দানের রাজধানী আম্মানে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান খালেদ মাশআলের উপর হামলা চালালে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে তিনি ঐ হামলা থেকে বেঁচে যান এবং দুই হামলাকারী ধরা পড়ে ।
২০০৩ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ এডওয়ার্ড সাইদ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৯৩৫ সালে বায়তুল মোকাদ্দাস শহরে খ্রীস্টান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৭ বছর বয়সে পড়ালেখা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সাহিত্যে ড: ডিগ্রী অর্জন করেন। মজলুম ফিলিস্তিনীদের অধিকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর কারণে এডওয়ার্ড সাইদ ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি প্রচুর লেখালেখি করে ফিলিস্তিনী জনগণের আর্তনাদের বিষয়টি বিশ্বের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেন। এডওয়ার্ড সাইদ ১৯৭৭ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয় মজলিশের সদস্য হিসাবে মনোনীত হন। কিন্তু ১৯৯১ সালে ইহুদীবাদী ইসরাইলের সাথে পিএলওর আপোষ আলোচনার প্রতিবাদে তিনি জাতীয় মজলিসের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বেশ কয়েকটি গ্রন্থের মধ্যে ‘সংস্কৃতি ও সা¤্রাজ্যবাদ’ অন্যতম। এছাড়া ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ‘প্রাচ্য পরিচিতি’ নামক গ্রন্থের জন্য তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। এই বইএ তিনি পশ্চিমা উপনিবেশবাদীরা জাতিগুলোর সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য কিভাবে প্রাচ্যবিদদেরকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
হিজরী ৭১০ সালের এই দিনে ইরানের প্রখ্যাত চিকিৎসক, গণিতবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক কুতুবুদ্দীন শিরাজি উত্তর পশ্চিম ইরানের তাবরিয শহরে পরলোক গমন করেন। তিনি তৎকালীন সময়ের আরেক খ্যাতনামা মনিষী খাজা নাসিরুদ্দীন তুসির ছাত্র ছিলেন। কুতুবুদ্দীন ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি রংধনুর গঠন প্রণালি ও এর রহস্য নিয়ে গবেষণা চালান এবং এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তিনি সেসময়কার নামকরা মনিষীদের কাছ থেকে যুক্তিবিদ্যা, এরফান, জ্যামিতি বিষয়েও ব্যাপক পড়ালেখা করেছেন। এছাড়া তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও প্রচুর পড়াশোনা করে শিরাজ হাসপাতালে বহু বছর চিকিৎসার কাজ করেছেন। কুতুবুদ্দীন শিরাজি চিকিৎসা, গণিত ও জ্যোতিশাস্ত্র বিষয়ে বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন।
ভাস্কো বালারোয়া কর্তৃক প্রশান্ত মহাসাগর আবিষ্কার (১৫১৩)
অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামার পর্তুগালের ভাইসরয় হিসেবে শেষবারের মতো ভারতে আগমন (১৫২৪)
কেরেনেস্কির নেতৃত্বে রাশিয়ার তৃতীয় কোয়ালিশন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ (১৯১৭)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক ও খ্যাতনামা লেখক এরিখ মারিয়া রেমার্কের মৃত্যু (১৯৭০)
নরওয়েতে কমন মার্কেটে যোগদানের বিপক্ষে ব্যাপক গণভোট (১৯৭২)
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় ভাষণ দান (১৯৭৪)
বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের মৃত্যু (১৯৯৫)
বাংলাদেশ সময়: ১২:০২:৩৭ ২২০ বার পঠিত