গৃহায়ন ও গণপূর্তের আওতাধীন সব ধরনের প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা দেখতে চায় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এ ছাড়াও তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে কাজের দরপত্র প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা আনার সুপারিশ করেছে।
কমিটি সূত্র জানায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদফতরের ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরের ৭টি অডিট আপত্তির উপর আলোচনা হয়। এ সময় দেখা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের নোয়াখালীতে একটি কাজের জন্য ইন্সট্রাকশন টু টেন্ডারের শর্ত করা হয় ঠিকাদার নির্বাচনে।
রেসপনসিভ ঠিকাদারের কাগজপত্র ঘাটতি থাকায় আরও তিন ধরনের কাগজপত্র (ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট, কাজের প্রত্যয়নপত্র ও সত্যায়িত ট্রেড লাইসেন্স) চায়। কিন্তু গত ৯ বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এসব কাগজপত্র জমা দেয়নি, যা অডিট আপত্তিতে স্পষ্ট অনিয়ম হিসেবে উঠে আসে।
অডিট কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সংসদীয় কমিটিও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে কমিটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে এ বিভাগের কাজের প্রাক্কলন তৈরি ও চুক্তি সম্পাদন তথা সামগ্রিক কার্য সম্পাদনে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী সাংবাদিকদের বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তের আওতাধীন চলমান প্রকল্পগুলোতে যেন দুর্নীতি না হয়,সে জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। বৈঠকে কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়েশা খান ও মো. জাহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২০:০৯ ১২৯ বার পঠিত
