
নিউজটুনারায়ণগঞ্জ : প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জের শত শত মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে ছুটে আসেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। আর সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে ভূক্তভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলে সকল প্রকার আইনী সহায়তা করছেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। ঘন্টার পর ঘন্টা নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তিনি। তাই নারায়ণগঞ্জের এক আলোচিত নাম এখন এসপি হারুন। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার প্রশংসা। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে অপরাধীদেরও আতংকের আরেক নাম হারুন অর রশিদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রনে হারুন অর রশিদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।
প্রভাবশালী অপরাধী থেকে শুরু করে ভূমি দস্যু, ঝুট সন্ত্রাসী, তেল চোর, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, জুয়ারী কেউই রেহাই পায়নি পুলিশের অভিযানে। এমনকি অপরাধ করে পুলিশ সদস্যরাও কোন প্রকার ছাড় পায়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের ভয় দূর করতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেন হারুন অর রশিদ। নির্বাচনে শত ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখেন তিনি। বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বন্দরের একটি সভাতে আসতে ধাবার মুখে পড়লে হারুন অর রশিদ নিজেই ছুটে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। নির্বাচন যেন কোন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য সকল প্রার্থীকে সমান আইনী সহায়তা করেছেন। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রাথী অসুস্থ হলে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন হারুন অর রশিদ। ঈদ, পূজা, লাঙ্গনবন্দ স্নান, জন্মষ্টমীসহ বিভিন্ন জাতীয়, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে শত ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত ছিল হকারদের দখলে। এই হকার উচ্ছেনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। তারপরও হকার মুক্ত হয়নি ফুটপাত। পরে এসপি হারুন অর রশিদ শহরের স্থায়ী ভাবে হকার উচ্ছেদ করেন।
একই সাথে দীর্ঘদিন দখলে থাকা মীর জুমলা সড়কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন তিনি। বিতর্কিত কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ায় ছাড়া পায়নি পুলিশ সদস্যরাও। একাধিক থানার ওসি’র বদলীসহ এসআই ও এএসআইদের বিভিন্ন সময়ে ক্লোজ করেছেন এসপি হারুন অর রশিদ। শহরের প্রভাবশালী অপরাধীরাও ছাড় পায়নি এসপি হারুনের অভিযান থেকে। তেল চোর ইকবাল, ঝুট সন্ত্রাসী গেয়াস উদ্দিন গেসু ও আজমতসহ টেনু গাজী, আল জয়নাল, সাবেক কাউন্সিলর মুন্না, কাউন্সিলর কবীর, কাউন্সিলর বাবু, ভিকি, মীর হোসেন মীরু, জুয়ারী তাপুসহ অনেক প্রভাবশালীই ছাড় পায়নি। এসপি হারুনের চলমান অভিযানে শহরের প্রভাবশালী অনেক সন্ত্রাসীই এখন আত্মগোপনে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১০ জানুয়ারী চাষাড়া শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জকে অপরাধ মুক্ত করার ঘোষনা দেন। এরপরই জেলা জুড়ে শুরু হয় বিশেষ অভিযান। তার এই অভিযানের প্রশংসা করে নগরবাসী তাকে বাংলার সিংহাম বলেই ডাকেন।
নারায়ণগঞ্জের পাঁচ সংসদ, মেয়রসহ জনপ্রতিনিদের সাথে সুসম্পর্কে রেখেই নারায়ণগঞ্জকে অপরাধ মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলার সিংহাম হারুন অর রশিদ। মন্ত্রী, দুই সাংসদ ও জেলা প্রশাসনের সাথে প্রীতি ফুটবল ম্যাচেরও আয়োজন করেছিলেন তিনি। এই ফুটবলের ম্যাচের মধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সাংসদের সাথে সম্পর্কটাকে আরও ঘনিষ্ট করে তুলেন। পুলিশ সুপার নিজে স্বশরীরে ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন যা একটি অনন্য নজিরই বলা চলে। এছাড়াও সাংবাদিকদের সকল প্রকার তথ্য দিতে পুলিশ সুপারের পক্ষে সার্বক্ষণিক সহায়তা করছেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমান। তাই এসপি হারুনের ভূমিকায় নারায়ণগঞ্জবাসী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০১:২৪ ৩৭৭ বার পঠিত