
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছে থেকে ল্যাপটপসহ বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব -১১ এর মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ওই দুই জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই র্যাব কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মাদরাসার কক্ষে জেএমবি সদস্যরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এ সময় অভিযানে জেএমবির সদস্য মো. মেহেদী হাসান মুরাদ (২৪) ও মো. আমানউল্লাহকে (৩৩) আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, উগ্রবাদী লিফলেট ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
মো. মেহেদী হাসান মুরাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানা এলাকায়। সে ২০১০ সালে স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে ২০১৬ সালে ঢাকার বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি (টেক্সটাইল) সম্পন্ন করে। মুরাদ ২০১৪ সালে কথিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেয়। পরে সে নারায়ণগঞ্জসহ দেশেরে বিভিন্ন অঞ্চলে জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিল। সে অনলাইন হতে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করে জেএমবির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বিতরণ করতো। তার মাধ্যমেই গ্রেফতারকৃত আরেক জঙ্গি মো. আমানউল্লাহ উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবিতে যোগ দেয়।
গ্রেফতার হওয়া অপর জঙ্গি আমানউল্লাহ বরিশালের একটি স্থানীয় মাদরাসা থেকে কামিল পর্যন্ত পড়াশুনা করে নারায়ণগঞ্জের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতো। সে চাকরির পাশাপাশি ছদ্মবেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতো। ওই মাদরাসায় তার একটি আলাদা কক্ষ ছিল।সেখানে জেএমবি সদস্যদের নিয়ে গোপনে বৈঠক করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত গোপনে সংগঠিত হয়ে জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ও আটক জেএমবি সদস্যদের মুক্ত এবং সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০০:২২ ১০৩ বার পঠিত