
ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার মধ্যে এক বছর আইসিসির পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
এই নিষেধাজ্ঞা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। সে হিসেবে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এর ফলে আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না তিনি। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে এই শাস্তির কথা জানানো হয়।
আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
১) ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ২০১৮ সালে আইপিএলে জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব।
২) ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজেই তার সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলে সেটিও এসিইউর কাছে জানাতে ব্যর্থ হন সাকিব।
৩) ধারা ২.৪.৪- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আইসিসির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সাকিব সবগুলো অভিযোগের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা চলার সময় সাকিব যদি শাস্তির বিধিবিধান মেনে চলেন, তাহলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:০৪ ২৮৫ বার পঠিত