
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্যোগকালে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবে।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘এল ব্লক’ এর উন্মুক্ত স্থানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ভূমিকম্প) অনুশীলনে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও মহড়া ‘ডিজিস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ এন্ড এক্সচেঞ্জ (ডিআরইই)-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. তাজুল ইসলাম একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিক (ইউএসএআরপিএসি)-এর যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই মহড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। জনসংখ্যার আধিক্য ও ঘনবসতি দেশটিকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগে এদেশে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশী। তবে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মহড়া দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রণিত পরিকল্পনার মাঠপর্যায়ে অনুশীলন ও নিরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বছর ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এটিএক্স) অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুশীলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি সংস্থা ও এনজিও, ওস্বচ্ছাসেবক, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সর্বমোট ৫৫টি সংস্থার ৬৮০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করছেন।
এছাড়াও ৩৬টি দেশের প্রায় ১০০ জন অসামরিক বা সামরিক প্রতিনিধি পরিদর্শক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ডিআরইই ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এফটিএ-এর প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড এর কামান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ, কে, এম, রেজাউল মজিদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৫:০৩ ১৯৭ বার পঠিত