
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মো. শাকিল (৮) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পুটিমারী বহরেরহাট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত শাকিল ওই ইউনিয়নের হাটিথানা বাঁধের রাস্তা এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং স্থানীয় আলহাজ মরহুম রজব উদ্দিন নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম (৩৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত রেজাউল পুটিমারী বহরেরভিটা গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। সে ৮-১০ বছর ধরে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানায়েছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে মাদরাসায় যায় শাকিল। সেখানে গিয়ে মাদরাসার মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল সে। এ সময় রেজাউল মাদরাসার গেটে উঁকি-ঝুঁকি মারলে শাকিল তাকে ভেতরে আসতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল তাকে ধরে মাদরাসার পাশে একটি চাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে শাকিলের দুই পা ধরে শূন্যে ঘোরাতে থাকেন। এরপর তাকে শুইয়ে দিয়ে একটি ইটের ওপর মাথা রেখে আরেকটি ইট দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে শিশুটি রক্তাক্ত যখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেয়ার পর দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত রেজাউল মানসিক ভারসাম্যহীন কি-না তা নিশ্চিত হতে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:২০ ১৫৫ বার পঠিত