আউশ ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিতকরণ, আবাদের এলাকা বৃদ্ধিকরণ, হেক্টর প্রতি ফল বৃদ্ধিকরণ, উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ ও পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে এ বছর কৃষকদের সাড়ে ৩৯ কোটি টাকা প্রনোদনা দেয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আউশ প্রণোদনা ২০১৭-২০১৮ এর প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উফশী আউশ ধান ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমপিও সার সহায়তা পাবেন। এতে সর্বসাকুল্যে বিঘা প্রতি ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯৭ টাকা ৫০ টাকা।
মতিয়া বলেন, নেরিকা আউশ ধান ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা পাবেন, সেচের জন্য খরচের সহায়তা ৫০০ টাকা ও আগাছা দমনের জন্য খরচের সহায়তা ৫০০ টাকা। এতে সর্বসাকুল্যে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৫ টাকা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮-০৯ হতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৫৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা বাবদ সহায়তা প্রদান করেছে।
চালের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে অর্থ পায় এই বিবেচনায় চালের দাম যেটা আছে এটা ভালো। চালের দাম এর চেয়ে কমে গেলে কৃষক ধান উৎপাদনে অনুৎসাহিত হবে। ফলে বড়ধরনের সংকট তৈরি হবে।
ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়েছে এমন অসত্য সংবাদ যেন গণমাধ্যমে প্রচার করা না হয় এজন্য মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান। বলেন, এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন দেশে চাল উৎপাদনে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি চাল বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছে কিন্তু চালের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি নেই কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, না, সেই প্রশ্ন আমারও। তবে আমি এটুকু বলবো, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমও দায়ী। ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ, গণমাধ্যমকে এটা কেন লিখতে হবে? বন্ধ তো হয়নি।
তিনি বলেন, আপনাদের পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে দেশে এখন মাছ উৎপাদনে মাগুর ও পাঙ্গাস মাছকে ভাত খাওয়ানো হয়। গরু উৎপাদনে চাল খাওয়ানো হচ্ছে। আসলে চালের ভোক্তাও বেড়েছে এ কারণে কোনো হিসাবই ঠিক থাকছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২১:১১ ৫২৩ বার পঠিত