২০২১ সালের মধ্যে সব গ্রামীণ সড়ক পাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দশক পূর্বে গ্রামীণ যোগাযোগ অবকাঠামো না থাকার কারণে উৎপাদিত শস্য ও কৃষিপণ্য বাড়ি পৌঁছানো ও বাজারজাত করতে সমস্যা হতো। এ সমস্যার সমাধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্য, সাড়ে তিন লাখ কিলোমিটারেরও অধিক কাঁচা-পাকা গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হয়েছে।’
সরকার কাঁচা সড়কগুলো পাকাকরণের কাজ করছে জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘আমরা গ্রামীণ হাট-বাজারকে উন্নত করার জন্য অবকাঠামোগত পরিবর্তন করছি এবং দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল বাজার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু ও মাটির গুণাগুণ কৃষি উৎপাদনের জন্য সর্বত্তোম। যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা যদি আমাদের কৃষকদের কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিতে পারি তবে শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই নয়, আমরা অন্যতম খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হতে পারি।’
বাংলাদেশে কৃষিতে এখনও সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় জানিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগাদাও দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘কৃষি শ্রমিকের অব্যাহত সংকটে শ্রমমূল্য বেশি হওয়ার কারণে আমাদের অনেক কৃষি জমি পতিত অবস্থায় রয়েছে। যান্ত্রিকীকরণে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাবে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানির জন্য বহির্বিশ্বে বাজার খুঁজছি। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদন ও গবেষণায় বাংলাদেশ বিশ্বে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

‘ইতিমধ্যে আমরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটন করেছি, অন্যান্য ফসলেরও জীবন রহস্য উদঘাটনের গবেষণা চলমান রয়েছে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৬:২১ ৩১১ বার পঠিত