মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে লৌহজং উপজেলার কনকসারে একই পরিবারের ছয়জনসহ ৮জনের জানাজা এবং পরবর্তীতে দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার কনকসার বটতলা গ্রামের বাহ্মণগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এখনও চলছে স্বজনহারাদের আহাজারি। এছাড়া সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, বর রুবেল ব্যাপারীর বাবা আবদুর রশিদ ব্যাপারী (৬০), বরের বোন লিজা আক্তার (২২), লিজার কন্যা তাবাসসুম আক্তার(৪), বর রুবেলের বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী রুনা আক্তার (২২), রুনার ছেলে তাহসান (৩), বর রুবেলের মামাতো বোন রানু আক্তার (১২), প্রতিবেশী কেরামত আলী (৭০), প্রতিবেশী মফিজুল ইসলাম (৬০) এবং চালক বিল্লাল হোসেন (২৮)। এছাড়াও বরের খালাতো ভাই শ্রীনগরের ছনবাড়ির জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বরযাত্রীবাহী মাইক্রো ও যাত্রীবোঝাই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।
এদিকে এ দুর্ঘটনা কারণ খুঁজতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়কে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন, শ্রীনগরের ইউএনও, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক, শ্রীনগর থানার ওসি, হাসাড়া হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্য এবং স্থানীয় ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার রাতে এই তথ্য দিয়ে বলেন, কমিটি আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৭:৫৯ ২৪৯ বার পঠিত