বিদেশে পাচার করে তরুণীদের ড্যান্স বারে নেওয়া হতো

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিদেশে পাচার করে তরুণীদের ড্যান্স বারে নেওয়া হতো
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯



---

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ তরুণী উদ্ধার ও ৭০টি পাসপোর্ট, ২০০টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৫০টি বিমান টিকেট, ৫০টি ট্যুরিস্ট ভিসার ফটোকপি, নগদ এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা জব্দ করেছে র‌্যাব।

গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার খিলগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গত এক বছরে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ৭২৯ জন তরুণীকে ড্যান্স ক্লাবের নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীস্থ র‌্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার কর্নেল রেজাউল হক এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দুবাইয়ের ড্যান্স ক্লাবের মালিক মো. মনির হোসেন ওরফে সোহাগ (৩০) ও আ. হান্নান (৫২), ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মো. আকাশ (২৯), তরুণী সংগ্রহকারী এজেন্ট মো. অনিক হোসেন (৩১) ও মো. আক্তার হোসেন, পাসপোর্ট প্রস্তুতকারী দালাল আফতাউল ইসলাম ওরফে পারভজ (৩৭)।

র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী তরুণীদের উচ্চ বেতনে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ড্যান্স বারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে থাকে। এই পাচারকারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক এজেন্ট, পাসপোর্টের দালাল, ড্যান্স বারের মালিক, ট্র্যাভেল এজেন্সি ও অসাধু ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। এই নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের এজেন্টরা নিম্নবিত্ত পরিবারের, পোশাক শিল্পের, ব্রোকেন ফ্যামিলির সুন্দরী তরুণীদের প্রাথমিকভাবে টার্গেট করে থাকে।

তিনি আরো জানান, টার্গেট করার পর প্রথমে তরুণীদের ছবি বিদেশে অবস্থিত ড্যান্স বারের মালিককে পাঠানো হয়। ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ড্যান্স বারের মালিক অথবা তার প্রেরিত প্রতিনিধি সরাসরি উক্ত তরুণীদের নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ঢাকা অথবা আশেপাশের কোন রেস্টুরেন্ট, হোটেল অথবা লং ড্রাইভের নামে অত্যাধুনিক বিলাসবহুল মাইক্রোবাসে সাক্ষাৎ করে থাকেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত তরুণীদের পাসপোর্ট উক্ত নারী পাচারকারী সিন্ডিকেট তাদের নিজস্ব পাসপোর্ট দালালের মাধ্যমে প্রস্তুত করেন। ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের মাধ্যমে নথিপত্র ম্যানেজ করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সকল তরুণীকে মধ্যপাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ড্যান্স বারে পাচার করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, এই সকল তরুণীরা বিদেশে পৌঁছা মাত্র এয়ারপোর্ট থেকে উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা রিসিভ করে হোটেলে নিয়ে গৃহবন্দি করে রাখত। বিদেশে অবস্থানকালীন এই সকল তরুণীকে কোন অবস্থাতেই নিজের ইচ্ছায় বারের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। প্রাথমিক অবস্থায় তরুণীরা এসকল অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে রাজি না হলে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য জোরপূর্বক প্রয়োগ করা হয়ে থাকত। এভাবে দিনের পর দিন উক্ত তরুণীদের উপর নির্যাতন চলতে থাকে। কোন খদ্দরের কোন নির্দিষ্ট তরুণীকে পছন্দ হলে উক্ত ড্যান্স বারের মালিকের নিকট হতে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কয়েক দিনের জন্য ভাড়া নিয়ে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২৬:২০   ২০৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ