
সম্প্রতি সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরের বর্ধিতকরণ কাজের অংশ হিসেবে প্যাসেঞ্জারটার্মিনাল নির্মাণে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটিশক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ কাজের টেন্ডার সিডিউলেরস্পেসিফিকেশন এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে সিন্ডিকেট চক্রের পছন্দের কোম্পানি ব্যতীতঅন্য কোন কোম্পানি রেসপন্সিভ হতে না পারে। এমনকি দেশি কোম্পানিও যাতে টেন্ডারে অংশনিতে না পারে। উল্লেখ্য, প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি তৈরি হবে সম্পূর্ণ স্টিলস্ট্রাকচারে। সে অনুযায়ী স্টিল স্ট্রাকচার স্থাপনা নির্মাণের অভিজ্ঞতাসম্পন্নস্বনামধন্য কোম্পানিই কাম্য এবং এ ধরণের দেশি-বিদেশি কোম্পানিও অনেক রয়েছে।কিন্তু, টেন্ডার স্পেসিফিকেশনে নিম্নোক্ত দুইটি শর্ত দেওয়া হয়েছে-
উপরে উল্লিখিত শর্তের কারণে টেন্ডারে ৭টি কোম্পানি অংশ নিলেও সঙ্গত কারণে ৬টিকোম্পানিকে বাতিল করে চীফ ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে টেন্ডার কমিটি L&T নামক একটি কোম্পানিকে রেসপন্সিভ করে। এখাতে জিওবি’র২৩০০কোটি টাকা বরাদ্দ থাকা সত্বেও L&T এর ৩২০০কোটি টাকারঅফার রেসপন্সিভ করে প্রায় হাজার কোটি টাকা লোপাট করত রাষ্ট্রের বিশাল আর্থিকক্ষতির ষড়যন্ত্র করা হয়। এই সিন্ডিকেট অভিনব কৌশলে এ ষড়যন্ত্রটি করছে। এরই অংশহিসেবে প্রথম ধাপে উক্ত টেন্ডারটি বাতিল করে দেয়– উদ্দেশ্য হল স্পেসিফিকেশন নাবদলিয়ে রি-টেন্ডার করে পুনরায় L&T কোম্পানিকে কাজ দেওয়া।ভবিষ্যতের জন্য জবাব হচ্ছে দ্বিতীয়বার টেন্ডার করেও অন্য কোম্পানি না পেয়ে L&T কে রেসপন্সিভ করা ছাড়া উপায় ছিল না। প্রশ্ন হল স্টিল স্ট্রাকচার কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্নঅনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে কিন্তু যাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেকাজেরঅভিজ্ঞতা নেই উক্ত কোম্পানি ব্যতীত। স্টিল স্ট্রাকচার স্থাপনাটি প্যাসেঞ্জারটার্মিনাল যা রানওয়েও নয় কিংবা যেখানে বিমান অবতরণও করবে না। স্টিল স্ট্রাকচার স্থাপনাযারা নির্মাণ করে কেবলই আর্কিটেকচ্যারাল ডিজাইন অনুসরণ করেই করে। এক্ষেত্রে বিমানবন্দরেরভিতরে বা বাইরে বিষয়টি অভিজ্ঞতার মাপকাঠি যাচাইয়ে অপ্রাসঙ্গিক। অত্যন্ত সুকৌশলেস্পেসিফিকেশনে বিমানবন্দরের ভিতরে স্টিল স্ট্রাকচার বিল্ডিং নির্মাণের অভিজ্ঞতাচাওয়া হয়েছে-তাও আবার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে হবে। সম্পূর্ণ বিষয়টি হাজার কোটিটাকা লোপাটের ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত ধাপে স্পেসিফিকেশন না বদলিয়ে ১৯/১১/১৯ তারিখে পুনঃদরপত্রআহ্বান করা হয় (দৈনিক জনকন্ঠ ১৯/১১/১৯)। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, চীফইঞ্জিনিয়ারসহ অসাধু দেশি-বিদেশি চক্র এ ষড়যন্ত্র প্রক্রিয়ায় লিপ্ত। যদিও জানাগেছে, ইতোমধ্যে দুদকসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ে এ বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণ করাহচ্ছে। সিভিল এভিয়েশনের একটি সূত্র জানায়, জি কে শামীমের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের ইশারায়চীফ ইঞ্জিনিয়ারসহ অসাধু চক্র হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেই উক্ত প্রক্রিয়ায়টেন্ডার স্পেসিফিকেশন তৈরি করে। রাষ্ট্রের বিশাল অংকের টাকার সাশ্রয় ঘটাতে টেন্ডারপ্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ করতে ২৮/১১/১৯ তারিখের প্রিবিড মিটিংয়ের পূর্বেই টেন্ডারস্পেসিফিকেশন বদালনো অতীব জরুরী। সেক্ষেত্রে অনেক কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলকঅংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৫:৫৬ ২৭৯ বার পঠিত