
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২২ জনকে হত্যার বিচারে সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়কে দ্রুততার সঙ্গে সঠিক বিচারের প্রমাণ হিসেবে দেখছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি যে, বাংলাদেশে এ রকম হত্যাকাণ্ড হলে তার বিচার অত্যন্ত দ্রুত হয়। আইনি সব প্রক্রিয়া ফলো করে বিচার সম্পন্ন করা হয়।’
বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমানের আদালতে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে ইতালীয়, জাপানি ও বাংলাদেশি নাগরিকসহ পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন। ঘটনা ঠেকাতে চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরা প্রাণ দিয়েছেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আরও বলতে চাই, এরকম চাঞ্চল্যকর যে সব মামলা দেশের শেকড়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়, সে সব মামলা দ্রুত শেষ করতে পারছি। সেটাও মনে হয় সন্তুষ্টির কারণ।‘
তিনি বলেন, ‘যখনই দুর্ঘটনা ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, এ সব অপরাধীকে দ্রুত বিচার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আজ সেই কথারই সত্যতা প্রমাণ হয়েছে।’
এ রায়ের ফলে বিচার বিভাগ নিয়ে বিশ্বের সামনে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার হবে কিনা জানতে চাইল আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা সারা বিশ্বকে প্রমাণ করতে পেরেছি যে, বাংলাদেশে এ রকম হত্যাকাণ্ড হলে তার বিচার অত্যন্ত দ্রুত হয়।
বিচারে এক আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও জাজমেন্ট পড়িনি। কেন খালাস পেল জাজমেন্ট দেখে নিই তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আইনমন্ত্রী জানান, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায় ডেথ রেফারেন্স হিসেবে সাতদিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে চলে যাবে। সেখানে গেলে পেপারবুক তৈরি হবে। এটার বিচার সেখানেও যাতে দ্রুত শেষ হয় আমি চেষ্টা করব। এর আগেরবার নুসরাত হত্যা মামলায় রায়ে যে কথা বলেছি, দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টের তালিকায় আনা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
দ্রুত বিচারের দাবির সপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজ এ সব ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার যত দ্রুত সম্ভব আইনি ফর্মালিটি শেষ করে মামলা শেষ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:৩৮ ১৮৪ বার পঠিত